খাশোগির মরদেহ কোথায় জানে না সৌদি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১:৫৮ এএম, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

সৌদি আরবের ভিন্ন মতাবলম্বী সাংবাদিক জামাল খাশোগির মরদেহ কোথায় আছে সে বিষয়ে কিছুই জানে না রিয়াদ। যে টিমটি জামাল খাশোগিকে হত্যা করেছে তাদের আটকের পরেও এ বিষয়ে কোন তথ্য উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।

রোববার মার্কিন টেলিভিশন চ্যানেল সিবিএসকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে সৌদির পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ তথ্য জানিয়েছেন। গত বছরের ২ অক্টোবর তুরস্কের ইস্তাম্বুল শহরে অবস্থিত সৌদি দূতাবাসে প্রবেশের পর নিখোঁজ হন সাংবাদিক জামাল খাশোগি। তাকে হত্যার বিষয়টি প্রথম থেকেই অস্বীকার করে আসছিল সৌদি। কিন্তু আন্তর্জাতিক চাপের মুখে পরবর্তীতে সৌদির তরফ থেকে স্বীকার করা হয় যে, দূতাবাসের ভেতরে সংঘর্ষে জড়িয়ে নিহত হয়েছেন খাশোগি।

তবে খাশোগির মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেলেও এখনও পর্যন্ত তার মরদেহের কোন হদিস পাওয়া যায়নি। সৌদির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আদেল আল জুবেইর জানিয়েছেন, খাশোগি হত্যায় ১১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে।

সিবিএস-এর ফেস দ্য ন্যাশনের কাছে সাক্ষাতকারে পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে প্রশ্ন করা হয়েছিল যে, খাশোগির মরদেহ কোথায় আছে? তিনি এর উত্তরে বলেন, আমরা জানি না। এরপর তাকে প্রশ্ন করা হয়, যাদের আটক করা হয়েছে তারা কেন বলতে পারছে না যে মরদেহ কোথায় আছে? এর জবাবে তিনি বলেন, আমরা এখনও এ বিষয়ে তদন্ত করছি।

তিনি আরও বলেন, আমরা তাদের জিজ্ঞেস করেছি যে তারা মরদেহটি কি করেছে এবং আমরা মনে করি তদন্ত এখনও চলছে। আমার ধারণা, আমরা এক সময় সত্যিটা জানতে পারব।

এর আগে নিউ ইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএর কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, জামাল খাশোগিকে দেশে ফিরিয়ে আনতে ২০১৭ সালে এক সহযোগীকে দায়িত্ব দিয়েছিলেন ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান। দেশে ফিরে আসতে না চাইলে তাকে হত্যার নির্দেশও দেয়া হয়।

এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আদেল আল জুবেইর বলেন, বেনামী কোন সূত্রের ওপর ভিত্তি করে আমি কোন মন্তব্য করতে চাই না। আমরা জানি, ক্রাউন প্রিন্স এ ধরনের নির্দেশ দেননি। এটা সরকারের তরফ থেকে নির্দেশ দেয়া কোন অপারেশন নয়। যারা এ ধরনের হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে তারা নিজেদের এখতিয়ারের বাইরে গিয়ে এমনটা করেছে।

টিটিএন/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।