আবারও অচলাবস্থার পথে যুক্তরাষ্ট্র

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১:২০ এএম, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

গত মাসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সম্মতিতে কয়েক সপ্তাহ ধরে চলা অচলাবস্থা সাময়িকভাবে আটকানো সম্ভব হয়েছিল। কিন্তু আবারও অচলাবস্থার দিকে ঝুঁকছে যুক্তরাষ্ট্র। সর্বশেষ দেশটিতে আরো একটি অচলা অবস্থা বিষয়ক আলোচনা থমকে গেছে।

অচলাবস্থা যেন নতুন করে আবারও শুরু না হয় সে বিষয়ে রিপাবলিকান ও ডেমোক্রেটদের মধ্যে আলোচনার কথা ছিল। কিন্তু এ বিষয়ে কোন চুক্তি ছাড়াই আলোচনা থেমে গেছে।

সোমবারের মধ্যে একটি চুক্তিতে পৌঁছে তা শুক্রবারের মধ্যে পাস করানোর চেষ্টা চলছিল। গত মাসে হওয়া তিন সপ্তাহের চুক্তির সময়সীমা শুক্রবারই শেষ হয়ে যাবে। তার আগেই নতুন চুক্তি না হলে নতুন করে আবারও অচল অবস্থা শুরু হবে। এর আগে একটানা ৩৫ দিন অচলাবস্থা কাটাতে হয়েছে ট্রাম্প সরকারকে। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে এটাই ছিল সর্বোচ্চ অচলাবস্থা।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শুরু থেকেই মেক্সিকো সীমান্তে দেয়াল নির্মাণের জন্য অর্থ বরাদ্দ দাবি করে আসছেন। কিন্তু মার্কিন কংগ্রেসের প্রতিনিধি পরিষদ নিয়ন্ত্রণকারী ডেমোক্রেট সদস্যরা ট্রাম্পের প্রস্তাবিত ৫৭০ কোটি ডলার অনুমোদন দেয়ার বিষয়টি প্রত্যাখ্যান করে আসছে। এখনও পর্যন্ত প্রাচীর নির্মাণকে কেন্দ্র করেই দুই পক্ষের মধ্যে মতভেদ রয়ে গেছে।

নিউ ইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অভিবাসী আটকের বিষয়ে ডেমোক্রেটরা চায় মার্কিন ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্টের (আইসিই) ডিটেনশন সেন্টারগুলোতে যে পরিমাণ বিছানা আছে তা কমানো হোক এবং ভিসার মেয়াদ শেষের পরও যারা অবস্থান করছে তাদের বদলে যেসব অভিবাসীর বিরুদ্ধে অপরাধের রেকর্ড আছে তাদের আটক করা হোক। কিন্তু এ বিষয়ে রিপাবলিকানদের সঙ্গে তাদের বিরোধের জন্যই সর্বশেষ আলোচনা থমকে গেছে।

দু'পক্ষ নতুন করে কোন সমঝোতায় না এলে মার্কিন হোমল্যান্ড সিকিউরিটি, পররাষ্ট্র, কৃষি ও বাণিজ্য বিভাগ চালানোর কোন অর্থ থাকবে না। ফলে নতুন করে আবারও অচলাবস্থা শুরু হবে। এতে করে প্রায় ৮ লাখ ফেডারেল কর্মীকে বেতন দেয়া সম্ভব হবে না। গতবারের অচলাবস্থায় বহু কর্মীকে বেতন ছাড়াই কাজ করে যেতে হয়েছে।

টিটিএন/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।