কলকাতা পুলিশের পাঁচ কর্মকর্তার পদক কেড়ে নেবে কেন্দ্র

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৮:০৭ পিএম, ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিচালকসহ (ডিজি) পাঁচ আইপিএস কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রের বরাত দিয়ে আনন্দবাজার বলছে, শাস্তিমূলক ব্যবস্থা হিসাবে কেড়ে নেয়া হতে পারে তাদের যাবতীয় পুরস্কার ও মেডেল।

গত রোববার মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির সঙ্গে মেট্রো চ্যানেলের ধরনাস্থলে ওই পাঁচ পুলিশ কর্মকর্তাকে দেখা গেছে বলে দাবি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের। পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিচালক বীরেন্দ্র ও অনুজ শর্মা, মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত বিনীত গোয়েল, কলকাতা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার সুপ্রতীম সরকার এবং বিধাননগরের কমিশনার জ্ঞানবন্ত সিংহের বিরুদ্ধে এই শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা (আইবি) ও রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠীর মন্ত্রণালয়ে পাঠানো প্রতিবেদনে রাজীব কুমারের সঙ্গে রোববার রাতে ধর্মতলার মেট্রো চ্যানেলে ওই পাঁচ পুলিশ কর্মকর্তাকেও মমতার পাশে চেয়ারে বসে থাকতে দেখা গেছে বলে জানানো হয়।

গত মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে রাজ্যের মুখ্য সচিবকে একটি চিঠি পাঠানো হয়। চিঠিতে কলকাতার পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গ ও সার্ভিস কন্ডাক্ট রুল ভাঙার অভিযোগে ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করা হয়।

কেন্দ্র থেকে পাঠানো ওই চিঠি পাল্টা কড়া জবাব দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যনার্জি। তিনি ওই দিন সন্ধ্যায় ধরনা মঞ্চ থেকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহের উদ্দেশে বলেন, পুলিশের পাশেই থাকবেন তিনি। অন্য পাঁচ পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে যে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে তখনো তা জানতেন না মুখ্যমন্ত্রী

পুলিশের ওই পাঁচ কর্মকর্তা চাকরি জীবনে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে যে পদকগুলো পেয়েছেন প্রাথমিক ভাবে তা কেড়ে নেওয়া হবে। উল্লেখ্য, পুলিশের ওই পাঁচ কর্মকর্তার মধ্যে কয়েকজন দেশটির রাষ্ট্রপতি পদকও পেয়েছেন।

সূত্র : আনন্দবাজার

এসএ/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।