তামিল পুনর্বাসনে শ্রীলংকাকে যুক্তরাষ্ট্রের সতর্কবার্তা


প্রকাশিত: ০৬:০৯ এএম, ২৬ আগস্ট ২০১৫

তামিল পুনর্বাসনে তাড়াহুড়ো না করতে শ্রীলংকার নতুন সরকারকে সতর্ক করে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। সোমবার মার্কিন প্রশাসনের শীর্ষ দুই কূটনীতিক কলম্বো সফর করে বলেন, পুনর্বাসন করা অত সহজ নয়।

২০০৯ সালে দীর্ঘ ৩৭ বছর ধরে স্বাধীনতার দাবিতে চলা গৃহযুদ্ধ সমাপ্তির পর সম্প্রতি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী তামিলদের পুনর্বাসন শুরু করে শ্রীলংকা সরকার। তার দুদিন পরেই এ বাগড়া দিল ওয়াশিংটন। তবে গত সপ্তাহে পার্লামেন্ট নির্বাচনে বিজয়ী সংস্কারবাদী শ্রীলংকার নতুন সরকারকে প্রশংসা করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

গণতন্ত্র ও মানবাধিকারবিষয়ক মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী টম মালিনস্কি ও দক্ষিণ-মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিশা দেশাই বিশাল দু’দিনের সফরে সোমবার শ্রীলংকায় যান। মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, দুই শীর্ষ মার্কিন কর্মকর্তা শ্রীলংকা সরকারের সিনিয়র কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। এছাড়া অন্য রাজনৈতিকদলীয় নেতা, সুশীল সমাজ ও ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন।

এ সফরে শ্রীলংকার অর্থনৈতিক উন্নয়ন, সুশাসন প্রতিষ্ঠা, গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান শক্তিশালীকরণ, পুনর্বাসন ও ন্যায়বিচার বিষয়ে মার্কিন সহযোগিতা জোরদার হবে বলে আশা প্রকাশ করা হয়েছে।

শ্রীলংকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাঙ্গালা সামারাভিরার সঙ্গে আলোচনার পর টম মালিনস্কি সাংবাদিকদের বলেন, আমরা পুনর্বাসন প্রক্রিয়াকে স্বীকৃতি দিচ্ছি। কিন্তু এতে আরো সময় দরকার। কেউ মিরাকল আশা করলে চলবে না।

মাঙ্গালা বলেন, দেশের মানবাধিকার সুরক্ষায় সরকারের গৃহীত পদক্ষেপ সম্পর্কে মার্কিন প্রতিনিধিদের অবগত করেছি। ভারতীয় বংশোদ্ভূত নিশা দেশাই বিশাল বলেন, নতুন সরকার তামিল পুনর্বাসনে ও দুর্নীতি প্রতিরোধে ব্যাপক উন্নতি করতে সকশ হয়েছে। গণতন্ত্রের প্রতি শুধু প্রতিশ্র“তি নয়, সুশাসন প্রতিষ্ঠায় বেশ কাজ করেছে সরকার।

এসএইচএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।