সৌদির সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন চান ৬৩ শতাংশ ব্রিটিশ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৪:৫৫ পিএম, ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

মুসলিম প্রধান ও রাজতন্ত্র দ্বারা পরিচালিত সৌদি আরবের সঙ্গে পশ্চিমা দেশের কোনো সম্পর্ক রাখা উচিত নয় বলে মনে করেন ৬৩ শতাংশ ব্রিটিশ নাগরিক। যুক্তরাজ্যের ওয়েস্টমিনিস্টার শহরে আয়োজিত একটি বিতর্কে এক হাজার ব্রিটিশ নাগরিক ভোট দিয়ে সৌদি রাজতন্ত্রের সঙ্গে সম্পর্ক না রাখার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত দেন।

মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম মিডল ইস্ট মনিটরের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ওয়েস্টমিনিস্টার শহরে ওই বিতর্কের আয়োজন করে ইন্টেলিজেন্স স্কয়ার্ড। তাছাড়া বাকি ৩৭ শতাংশ ব্রিটিশ নাগরিক এই বিষয়টিতে সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছেন বলে তারা পক্ষে বিপক্ষে কোনটিতেই ভোট দেননি।

সৌদি আরবের সঙ্গে পশ্চিমা বিশ্বের সম্পর্ক নিয়ে আয়োজিত ওই বিতর্কে মোট চারজন বক্তা অংশ নেন। তাদের মধ্যে সৌদির সঙ্গে সম্পর্ক রাখার পক্ষে যুক্তি দিয়ে বক্তব্য দেন সাংবাদিক ও উপস্থাপক মেহেদি হাসান ও সৌদি বংশোদ্ভূত লন্ডন স্কুল অব ইকোনোমিক্সের সামাজিক নৃবিজ্ঞানের অধ্যাপক মাদাই আল রশীদ।

সৌদির সঙ্গে পশ্চিমা বিশ্বের সম্পর্ক রাখার পক্ষে যুক্তি দিয়ে বক্তব্য দেন মিসরীয় বংশোদ্ভূত মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক বিশেষজ্ঞ ড. মামুন ফান্ডে ও কনসারভেটিভ দলের এমপি ক্রিস্পিন ব্লান্ট। অবশ্য যুক্তি উপস্থাপনের মাধ্যমে পরে তারা সিদ্ধান্তহীনতায় ভোগা কিছু মানুষকে নিজেদের দলে টানতে পেরেছেন। তবে ওই বিতর্কটি নিজেদের দখলে রাখেন সম্পর্ক না রাখার পক্ষে যুক্তি দেয়া দুই বক্তা।

সৌদি আরব এখন দেশটির ডি-ফ্যাক্টো নেতা যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের নেতৃত্বে চলছে। যুবরাজ সালমান গোটা বিশ্বে এখন ব্যাপক সমালোচিত। ইয়েমেন যুদ্ধে দেশটির মানুষকে দুর্ভিক্ষের মুখে ঠেলে দেয়ার জন্য তাকে দায়ী করা হয়। আর এরই মধ্যে গত অক্টোবরে রাজতন্ত্রের সমালোচক হিসেবে পরিচিত সাংবাদিক জামাল খাশোগিকে হত্যার মাধ্যমে নতুন করে সমালোচিত হচ্ছেন তিনি।

এসএ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।