১০০ বছর বয়সের আগে সিগারেট কেনা নিষেধ
কাজের অবসরে ক্লান্তি দূর করতে যেন সুখটানের জুড়ি নেই। যেন ধোয়া উড়িয়ে দেয়ার সঙ্গে সঙ্গে নিজের ক্লান্তিকেও উড়িয়ে দেয়া যায়। তবে এখন বেঁচে থাকতে বোধহয় সুখটানের সেই সুযোগ আর থাকছে না। কারণ ইচ্ছা করলেই সিগারেট স্পর্শ করতে পারবেন না আপনি।
এজন্য অপেক্ষা করতে হবে অন্তত ১০০ বছর। তবে হতাশ হওয়ার কিছু নেই। কারণ এই আইন বাংলাদেশে চালু হচ্ছে না, হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াই অঙ্গরাজ্যে।
ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদন বলছে, হাওয়াই অঙ্গরাজ্যের ডেমোক্র্যাটিক পার্টির আঞ্চলিক প্রতিনিধি রিচার্ড ক্রিয়েগন নতুন একটি বিল উত্থাপন করেছেন। বিলটিতে ১০০ বছর বয়সের নিচে কোনো ব্যক্তির কাছে সিগারেট বিক্রি করা নিষেধ করা হয়েছে।
অর্থাৎ কোনো ব্যক্তির বয়স যদি ১০০ বছরের নিচে হয় তাহলে তিনি সিগারেট কিনতে পারবেন না। ২০২৪ সালের মধ্যে সিগারেট নিষিদ্ধ করার প্রস্তাবও করা হয়েছে ওই বিলে।
অঙ্গরাজ্যটিতে এমনিতেই সিগারেটের ওপর কঠোর বিধিনিষেধ রয়েছে। তবে ক্রিয়েগন, যিনি একজন জরুরি বিভাগের চিকিৎসকও, বলছেন, ‘সিগারেট নিষিদ্ধে বিদ্যমান আইনগুলো যথেষ্ট নয়। ইতিহাসে মানবসৃষ্ট ‘সবচেয়ে প্রাণঘাতী’ এই বস্তুটি নিষিদ্ধে আরও কঠিক কিছু করা উচিত বলে আমি মনে করি।’
হাওয়াই ট্রিবিউন-হেরাল্ডকে এই ডেমোক্র্যাটের এই প্রতিনিধি বলেন, ‘আসলে এখানে একটি গ্রুপ রয়েছে যারা মারাত্মকভাবে সিগারেটে আসক্ত। আমি মনে করি, কিছু খারাপ শিল্প-প্রতিষ্ঠান নতুন নতুন ব্যান্ডের সিগারেট তৈরি করে এসব লোকদের তাদের ক্রীতদাস বানিয়ে রেখেছে। এটা প্রাণঘাতী।’
‘বিলটি এমনভাবে সাজানো হয়েছে যে, এটি যেকোনো আইনি চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে প্রস্তুত। কারণ রাষ্ট্র জনগণের স্বাস্থ্যের নিরাপত্তা দিতে বাধ্য। আমরাতো জেনেশুনে মানুষকে নেশার দিকে ঝুঁকতে দিতে পারি না। কারণ ধূমপান খুবই প্রাণঘাতী ও ভয়াবহ’-যোগ করেন ক্রিয়েগন।
অঙ্গরাজ্যটির বিদ্যমান আইনে ২১ বছরের নিচে কোনো ব্যক্তি সিগারেট কিনতে পারে না। দেশজুড়ে সিগারেট কেনার ন্যূনতম বয়স ১৮-১৯। তবে ক্রিয়েগন সংসদে যে বিল উত্থাপন করা হয়েছে, তাতে বলা হয়েছে ২০২০ সালে সিগারেট কেনার ন্যূনতম বয়ম নির্ধারণ করা হবে ৩০ বছর। ২০২১ সালে ৪০ বছর। এভাবে ২০২২ সালে ৫০, ২৩-এ ৬০ এবং সর্বশেষ ২০২৪ সালে ন্যূনতম বয়স নির্ধারণ করা হবে ১০০ বছর।
দেশটির সেন্টার ফর ডিজিস কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন বিভাগের তথ্য মতে, যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি বছর প্রায় ৫ লাখ ব্যক্তির মৃত্যুর জন্য প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে দায়ী এই ধূমপান।
এসআর/এমকেএইচ