সহপাঠীকে হত্যার পর রক্তপান!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৬:৪৬ পিএম, ০২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

এক দশক আগে স্কুলে পড়ার সময় সহপাঠীকে হত্যা করে তার রক্ত পান করেছিলেন। শুধু তাই নয়, ভুয়া কাগজপত্র দেখিয়ে চিকিৎসক হিসেবে হাসপাতালে চাকরিও নিয়েছিলেন তিনি। এভাবে প্রায় এক দশক অতিবাহিত করার পর ভুয়া এই চিকিৎসককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, ৩৬ বছর বয়সী এই ব্যক্তি রাশিয়ার চেলইয়াবিনক্সের ইউরালস শহরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসক হিসেবে কাজ করেছিলেন। গত বছরের নভেম্বরে চাকরি পেতে ভুয়া ডিগ্রি সার্টিফিকেট ব্যবহার করার অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

তারা বলছেন, ২০০০ সালে ‘বিশেষ গুরুতর অপরাধ' করার দোষে বরিস কোন্ড্রাশিন নামের এই ব্যক্তিকে বাধ্যতামূলক মানসিক চিকিৎসা করানোর নির্দেশ দেয়া হয়। এর পরও তিনি চিকিৎসক হিসেবে কাজ করতে সক্ষম হন কীভাবে সেই নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

রুশ সংবাদমাধ্যম বলছে, ১৯৯৮ সালে কিশোর বয়সে তিনি ১৬ বছর বয়সী স্কুলের সহপাঠীকে হত্যার পর টুকরো টুকরো করেন। ধর্মীয় প্রথা মেনে বন্ধুকে মেরে, তার রক্ত পান করেছিলেন কোন্ড্রাশিন। দেশটির আঞ্চলিক সংবাদমাধ্যম জেডন্যাক বলছে, কোন্ড্রাশিন নিজেকে ভ্যাম্পায়ার মনে করতেন!

২০০০ সালের আগস্টে কোন্ড্রাশিনের হোমিসাইডাল স্কিজোফ্রেনিয়া ধরা পড়ার পরে তার মানসিক চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কোন্ড্রাশিন কী করছেন, কী ভাবছেন এসব বোঝার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছিলেন। প্রায় এক দশক পরে তাকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেয়া হয়।

শহরের স্বাস্থ্য বিভাগের প্রধান নাতালিয়া গার্লোভা জানান, মেডিক্যাল প্রতিরোধ বিভাগে চেলইয়াবিনক্স শহরের ১১ নাম্বার হাসপাতালের প্রাথমিক চিকিৎসক হিসেবে কোন্ড্রাশিনকে নিয়োগ করা হয়। এই হাসপাতালে তার কাজ ছিল মানুষকে মদ খাওয়া বা ধূমপান করার সমস্যা নিয়ে বোঝানো এবং ব্যায়ামের সুবিধা বিষয়ে তাদের উৎসাহিত করা।

রুশ সংবাদসংস্থা ইন্টারফ্যাক্স বলছে, কোন্ড্রাশিনকে জানুয়ারিতে আটক করা হয়েছিল। হাসপাতাল কোন্ড্রাশিনের ডিগ্রি সার্টিফিকেট পরীক্ষা করার পরই তাকে বরখাস্ত করে। একটি মেডিক্যাল আলোচনার ফোরামে শুক্রবার সাদা কোট পরে হাসিমুখে কোন্ড্রাশিনের ছবি পোস্ট করা হয়।

কোন্ড্রাশিনের বোনও একজন চিকিৎসক। তিনি বলেন, তিনি বা তার মা জানতেন না যে কোন্ড্রাশিন চাকরি পেয়েছেন। কোন্ড্রাশিন কেবল উচ্চ বিদ্যালয় পাস করেছিলেন। তিনি জানান, জনসাধারণকে বিপদে ফেলার আপাতত কোনও সম্ভাবনা নেই জেনেই তাকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। তবে এখনও তাকে চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে রাখা উচিত ছিল।

এসআইএস/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।