আমার দেহে এমন কী আছে, যা অন্য নারীর নেই
কিশোর বয়সে তিনবার ধর্ষণের শিকার হয়েছিলেন তিনি। কৈশোরের সেই ধর্ষণের ঘটনার নিমর্মতা ২৫ বছর বয়সে এসেও কাটিয়ে উঠতে পারেননি। ধর্ষণের বিরুদ্ধে সচেতনতা গড়ে তুলতে প্রায়ই খোলাখুলি কথা বলতে দেখা যায় সুজি লারসন নামের মার্কিন এক তরুণীকে।
কিন্তু তাকে এটাও শুনতে হয় যে, ধর্ষণের পিছনে নাকি তারই দোষ ছিল। আর সেটাই সুজি’র মানসিক অবসাদের কারণ। সেই সুজিই এবার সামাজিক মাধ্যমে তার নগ্ন ছবি পোস্ট করছেন। অবশ্য এর পেছনের কারণটাও বেশ অদ্ভুত। এ ব্যাপারে সুজির ভাষ্য হলো, যে তিনজন ব্যক্তি তাকে ধর্ষণ করেছিল তাদের মধ্যে দু’জনই তার পরিবারের সদস্য।
আরও পড়ুন>> ১০ মিনিট দেরি হওয়ায় স্ত্রীকে তিন তালাক
পরিবারের নিকট আত্মীয়দের কাছ থেকে এমন আচরণের পর থেকেই মানসিকভাবে গুটিয়ে যান সুজি। অনেকেই তাকে বলতো, খোলামেলা পোশাক পরে ধর্ষকদের প্ররোচিত করেছেন তিনি। এ ঘটনার পর থেকে সবসময়ই পুরোহাতা পোশাক পরে থাকতেন সুজি।
মানসিক অবসাদে খাওয়াও প্রায় ছেড়ে দিয়েছিলেন। ফলে শারীরিক অবস্থারও ক্রমশ অবনতি হতে থাকে। এমন সময় সুজির জীবনে আসেন প্রেমিক স্যামুয়েল। তিনি সুজিকে বোঝান ধর্ষণের সঙ্গে পোশাকের কোনও সম্পর্ক নেই। ক্রমে সুস্থ হতে থাকেন সুজি। মানসিক জোরও তার বাড়তে থাকে।
আরও পড়ুন>> ১১ বছর আগে প্রাণ বাঁচানো যুবকই আজ স্বামী
সুজি বলছেন, ‘সবাই বলতো আমি নাকি ছোট পোশাক পরে দেহ দেখিয়ে ধর্ষকদের প্রলুব্ধ করি। তাই আমি নিজের দেহ খোলাখুলিভাবে সবার সামনে তুলে ধরলাম। সবাই দেখুক আর বিচার করুক আমার দেহে এমন কী আছে, যা অন্য কোনও নারীর শরীরে নেই। আমার দেহে এমন কী আছে যা ধর্ষকদের লোভাতুর করে তোলে।’
২০১৪ সালে স্যামুয়েল এবং সুজি–র বিয়ে হয়েছে। সুজি বলেছেন, ‘স্যামুয়েল আমার জীবন পাল্টে দিয়েছে। ও আসার পরে আমি নতুন করে জীবনের মানে খুঁজে পেয়েছি।’
এসএ/এমকেএইচ