সেই নারীর কাছে ক্ষমা চাইলেন প্রিন্স ফিলিপ
ব্রিটিশ রানি এলিজাবেথের স্বামী প্রিন্স ফিলিপকে বহনকারী একটি গাড়ি সম্প্রতি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। দুর্ঘটনায় প্রিন্স ফিলিপের কোনো ক্ষতি না হলেও তাতে আহত হয়েছিলেন এক নারী। সানডে মিররের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ব্রিটিশ রাজপুত্র সেই নারীর কাছে ক্ষমা চেয়েছেন।
সানডে মিররের প্রতিবেদনে ৯৭ বছর বয়সী প্রিন্স ফিলিপের একটি চিঠি প্রকাশিত হয়েছে। সেই চিঠিতে তিনি দুর্ঘটনায় হাতের কবজি ভেঙে আহত হওয়া এমা ফেয়ারওদারের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন। গত ১৭ জানুয়ারি রানি এলিজাবেথের সান্দ্রিংহাম এস্টেটের কাছে এ১৪৯ সড়কে এমা ফেয়ারওদারের গাড়ির সঙ্গে প্রিন্স ফিলিপের ল্যান্ড রোভারটির সংঘর্ষ হয়। তাতে অবশ্য প্রিন্স ফিলিপ আহত হন নি।
নীল কালিতে লেখা সেই চিঠিতে প্রিন্স ফিলিপ বলেন, ‘আমি দুঃখিত। আমার দিক থেকে জানাতে চাই সেই দুর্ঘটনার জন্য কতটা ব্যথিত হয়েছি আমি। আমি শুধু এটা কল্পনা করতে পারছি গাড়িটা যে আসছিল তা আমি দেখতে ব্যর্থ হয়েছি। পুরো ঘটনাটার জন্য আমি খুবই অনুতপ্ত।’
তবে সংঘর্ষে জড়ানো অন্য গাড়িটির ২৮ বছর বয়সী নারী চালকের হাঁটু সামান্য কেটে যায়। তাছাড়া কব্জি ভেঙে যায় গাড়িটিতে থাকা ৪৫ বছর বয়সী অন্য আরেক নারীর। হাসপাতালে ভর্তির পর প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাদেরকে ছেড়ে দেয়া হয়।
ফেয়ারওয়েদার নামের ওই নারী গত সপ্তাহে সানডে মিররকে অভিযোগ করে জানান, তিনি এখন পর্যন্ত পিন্স ফিলিপের কাছ থেকে নিজের ভুল স্বীকার করে কোনো বক্তব্য পান নি। এরপরই মূলত এমন চিঠি লিখে ক্ষমা চাইলেন প্রিন্স ফিলিপ।
২১ তারিখে লেখা প্রিন্স ফিলিপের সেই চিঠিতে তিনি বলেন, ‘আমি দুর্ঘটনা পর অনেক বড় একটা ঝাকুনি খেয়েছিলাম। তবে আমি এটা জানতে পেরে নির্ভার হতে পারছি যে, আপনাদের মধ্যে কেউই মারত্মকভাবে আহত হন নি। আমি যখন জানতে পারলাম আপনি কব্জি ভাঙ্গা হাত নিয়ে পড়ে আছেন তখন থেকেই আমি ব্যাপারটা ভেবে খুব দুঃখ পাচ্ছি।’
এসএ/পিআর