চা-বিক্রির টাকায় স্কুল গড়ে পদ্মশ্রী

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৭:৩৯ পিএম, ২৬ জানুয়ারি ২০১৯

চলতি বছর ভারতের চতুর্থ সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা পদ্মশ্রী পাচ্ছেন দেশটির ৯৪ নাগরিক। শিল্পকলা, শিক্ষা, বাণিজ্য, সাহিত্য, বিজ্ঞান, খেলাধুলা, সমাজসেবা ও সরকারি ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য ভারত সরকার এই সম্মান প্রদান করেন। এবারের এই সম্মাননা তালিকায় নাম রয়েছে ডি প্রকাশ রাও নামে ওড়িশার কটকের এক বাসিন্দার।

তার পদ্মশ্রী পাওয়ার গল্পটা অন্য ৯৩ জনের চেয়ে ভিন্ন। তিলে তিলে নিজের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করেছেন চায়ের কেটলিতে হাত রেখে। পেশায় তিনি একজন চা বিক্রেতা। তবে এটাই শুধু তার পরিচয় নয়। বরং চা-বিক্রির পাশাপাশি যে কাজটি তিনি গত ৬৭ বছর ধরে করে আসছেন, তার জন্যই তাকে এই সম্মান দেয়া হল।

চা-বিক্রি করে যা উপার্জন করেন, তার একটা বড় অংশ তিনি খরচ করেন সমাজসেবার মাধ্যমে। তিনি আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া শিশুদের লেখাপড়ার ব্যবস্থা করেন। নিজের আয়ের একটি অংশ খরচ করে তিনি কটক ও তার আশপাশের এলাকায় একটি স্কুলও খুলেছেন। প্রত্যেকদিন তিনি ওই স্কুলে যান।

বিনামূল্যে শিশুদের তিনি পড়ানোর কাজ করেন। সেই কাজ সেরে তিনি চলে যান হাসপাতালে। সেখানে রোগীর সেবা, রোগীর পরিজনদের সহায়তা, রোগীদের জন্য গরম পানির ব্যবস্থাও করে দিন ডি প্রকাশ রাও।

মাঝেমধ্যে তিনি রক্তদানও করেন। চা-বিক্রেতা প্রকাশ রাও কখনও স্কুলে যাননি। অথচ তিনি হিন্দি ও ইংরেজি বেশ ভালো বলতে পারেন। ডি প্রকাশ রাওয়ের প্রশংসা করেছিলেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও। ২০১৮ সালের ৩০ মে মন কি বাত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী ওই চা বিক্রেতার অবদানের কথা উল্লেখ করেছিলেন। জিনিউজ।

এসআইএস/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।