পুতিনে রেকর্ড পরিমাণ আস্থা কমেছে রাশিয়ানদের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৬:২৩ পিএম, ২৩ জানুয়ারি ২০১৯

রাশিয়ার নাগরিকরা দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ওপর আস্থা হারাচ্ছেন। সম্প্রতি এক জরিপে দেখা যাচ্ছে, ২০০৬ সালের পর পুতিনের জনপ্রিয়তা এখন তলানিতে। রাশিয়ার রাষ্টীয় জনমত গবেষণা কেন্দ্র পরিচালিত জরিপের তথ্য অনুযায়ী, পুতিনের ওপর আস্থা কমেছে ৩৩ শতাংশেরও বেশি রাশিয়ানের।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে জরিপের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানানো হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, অর্থনৈতিক মন্দাভাব, নিষ্পত্তিযোগ্য আয়ের নিম্নগতি ও অবসরকালীন বয়স বৃদ্ধি ইত্যাদি কারণে পুতিনের ওপর রাশিয়ান নাগরিকদের আস্থা কমছে।

২০১৫ সালের জুলাইয়ের জরিপে দেখা যায় পুতিনের ওপর দেশটির ৭১ শতাংশ মানুষের আস্থা ছিল। কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে, ২০১৪ সালে ইউক্রেণের কাছ থেকে ক্রিমিয়া উপদ্বীপ দখলের প্রেক্ষিতে পুতিন তখন রাশিয়ানদের আস্থার প্রতীকে পরিণত হন।

তাছাড়া গত বছরের ডিসেম্বরে দ্য লেভাডা সেন্টার নামের মস্কোভিত্তিক একটি বেসরকারি জনমত জরিপ বিষয়ক সংস্থার পরিচালিত জরিপ অনুযায়ী, দেশটির ৫৩ শতাংশ মতামত প্রদানকারী পুতিনের নেতৃত্বাধীন রুশ সরকারকে অনুমোদন দিতে অস্বীকৃতি জানান। লেভাডা সেন্টারের দেয়া তথ্যমতে, ২০১৫ সালে পুতিন সরকারের প্রতি আস্থা ৮৯ শতাংশ থেকে নেমে ৬৩ শতাংশতে আসে।

ইউনিভার্সিটি কলেজ অব লন্ডনের রাশিয়ান রাজনীতি বিষয়ক প্রভাষক বেন নোবেল আলজাজিরাকে বলেন, ‘আমরা জানি ক্রেমলিন এই জরিপকে গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করবে। তাই এখন আমাদের তাদের দিকে মনোযোগ রাখতে হবে।’

১৯৯৮ সালে দেশটির অর্থনৈতিক অচলাবস্থার মধ্যে ক্ষমতায় আসেন ভ্লাদিমির পুতিন। তিনি ক্ষমতায় আসার পর প্রতিশ্রতি দেন দেশটির নাগরিকদের জীবনের মান উন্নত করবেন, তাদেরকে ভালো বেতনের ব্যবস্থা করবেন এবং মতামত প্রকাশের পূর্ণ স্বাধীনতা থাকবে।

লন্ডন ভিত্তিক থিঙ্ক ট্যাংক দ্য রয়্যাল ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফায়ার্সের রাশিয়া ও ইউরোশিয়া বিষয়ক গবেষক ম্যাথিউ বোলগুয়ে বলেন, ‘পুতিন ক্ষমতায় আসার সময় যে সামাজিক চুক্তির কথা বলে মানুষকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন রাশিয়ার সরকার পদ্ধতি আর সেই সামাজিক চুক্তি অনুযায়ী চলতে পারবে না।’

এসএ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।