ওয়ানঝুকে প্রত্যর্পণে কানাডাকে সময়সীমা বেধে দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র
চীনা টেলিকম জায়ান্ট হুয়াওয়ের প্রধান অর্থনৈতিক কর্মকর্তা ওয়ানঝুকে প্রত্যর্পণে কানাডাকে আনুষ্ঠানিক অনুরোধ জানাবে যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রের এমন অনুরোধের মাধ্যমে মার্কিন-চীন ভূ-রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব আরও বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কার কথা বলে সিএনএনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের ডিপার্টমেন্ট অব জাস্টিস এক বিবৃতিতে জানায়, আগামী সপ্তাহে কানাডিয়ান কর্তৃপক্ষকে প্রত্যর্পণের আনুষ্ঠানিক অনুরোধ জানিয়ে একটি সময়সীমা বেধে দেবে তারা। তাছাড়া যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত কানাডার রাষ্ট্রদূত সংবাদমাধ্যম গ্লোব অ্যান্ড মেইলকে এ অনুরোধের কথা নিশ্চিত করেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অনুরোধে গেল বছরের ১ ডিসেম্বর বিমানবন্দর থেকে ওয়ানঝুকে গ্রেফতার করে কানাডার কর্তৃপক্ষ। পরে কানাডার আদালত তাকে জামিনে মুক্তি দিলেও নজরদারির মধ্যে রাখে। মেং ওয়ানঝু হুয়াওয়ের প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা ও ডেপুটি চেয়ারম্যান। তাছাড়া হুয়াওয়ের প্রতিষ্ঠাতা রেন ঝেংফেইয়ের মেয়ে তিনি।
সিএনএনের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ওয়ানঝুকে গ্রেফতারের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা এবং চীনের সম্পর্কে নতুন করে বৈরিতা দেখা দিয়েছে। আর এই গ্রেফতারের মাধ্যমে প্রশ্ন উঠেছে হুয়াওয়েকে দমন করার প্রচেষ্টায় মার্কিন সরকার কতদূর এগিয়ে যেতে পারে।
এদিকে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পুনরায় মেং ওয়ানঝুকে মুক্তি দেয়ার অনুরোধ জানিয়েছে। তারা দাবি করছে, এমন কাজের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা তাদের প্রত্যর্পণ চুক্তির অপব্যবহার করছে। উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কানাডার প্রত্যর্পণ চুক্তি অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্রের আনুষ্ঠানিক অনুরোধের প্রেক্ষিতে সিদ্ধান্ত দিতে হবে কানাডার আদালতকে।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হুয়া চুনিয়াং নিয়মিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, ‘কানাডা শুরুতেই একটি মারাত্মক ভুল করেছে। কেননা মেংকে গ্রেফতারের ঘটনাটি নিয়মমাফিক বিচারিক মামলা নয়। আমরা যুক্তরাষ্ট্রকে তাদের ভুল শোধরানোর অনুরোধ জানাবো তারা যেন ওয়ানঝুর গ্রেফতারি পরোয়ানা তুলে নেয়।’
এসএ/এমএস