অ্যারো-৩ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা পরীক্ষা ইসরায়েল যুক্তরাষ্ট্রের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৭:৩৬ পিএম, ২২ জানুয়ারি ২০১৯

সিরিয়ায় ইরানের সামরিক বাহিনীর স্থাপনায় প্রাণঘাতী ইসরায়েলি ক্ষেপণাস্ত্র হামলার একদিন পর ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র বিধ্বংসী ইন্টারসেপ্টরের পরীক্ষা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র এবং ইসরায়েল। মঙ্গলবার স্থানীয় সময় সকালের দিকে ইসরায়েলি বিমান ঘাঁটিতে মোতায়েনকৃত ইন্টারসেপ্টরের সফল পরীক্ষা চালানোর খবর ইসরায়েল এবং যুক্তরাষ্ট্র যৌথভাবে দিয়েছে।

সিরিয়ায় ইসরায়েলি ক্ষেপণাস্ত্র হামলার একদিন পর দেশটিতে ক্ষেপণাস্ত্র বিধ্বংসী ইন্টারসেপ্টরের পরীক্ষা চালানো হয়েছে বলে উভয় দেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। রোববার সিরিয়ার ভেতরে ইরানি এবং সিরিয়ার সামরিক বাহিনী, আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ও কুদস ফোর্সের স্থাপনা লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান।

এই হামলায় মোট ২১ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। নিহতদের মধ্যে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ নেতৃত্বাধীন সরকারের নিরাপত্তাবাহিনীর ৬ সদস্য এবং ১৫ জন অন্য দেশের নাগরিক রয়েছেন। অ-সিরীয় ১৫ জনের মধ্যে রয়েছে ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর ১২ সদস্য।

আরও পড়ুন : মানচিত্র থেকে ইসরায়েলকে মুছে দেয়ার হুমকি ইরানের

ফরাসী বার্তাসংস্থা এএফপি বলছে, দুই বছর আগে ইসরায়েলজুড়ে দেশটির বিমানবাহিনীর ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্রবিধ্বংসী অ্যারো-৩ ইন্টারসেপ্টর ব্যবস্থা মোতায়েন করা হয়েছিল।

মঙ্গলবার ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইসরায়েলের মধ্যাঞ্চল থেকে ক্ষেপণাস্ত্রের একটি রেপ্লিকা নিক্ষেপ করা হয়েছিল; যা অ্যারো-৩ ইন্টারসেপ্টর ব্যবস্থার রাডার শনাক্ত করেছে।

‘একেবারে সেই মুহূর্তে রেপ্লিকা ক্ষেপণাস্ত্র লক্ষ্য করে অ্যারো-৩ ইন্টারসেপ্টর মোতায়েন করা হয় এবং ওই ক্ষেপণাস্ত্র সফলভাবে ভূপাতিত করা হয়েছে।’

আরও পড়ুন : ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধ শুরু হচ্ছে?

অ্যারো-৩ ইসরায়েলি আকাশ সীমার সর্বোচ্চ উচ্চতায় মোতায়েনকৃত ক্ষেপণাস্ত্র বিধ্বংসী প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। এছাড়া কম উচ্চতায় ইসরায়েলের দিকে ধেয়ে আসা ক্ষেপণাস্ত্রবিধ্বংসী ইন্টারসেপ্টরও ইতোমধ্যে মোতায়েন করা হয়েছে।

গত ডিসেম্বরে ইসরায়েলের চিরশত্রু ইরান ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালানোর তথ্য নিশ্চিত করে। মাঝারি মাত্রার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা নিয়ে পশ্চিমা বিশ্বের সমালোচনার পর ওই ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালায় তেহরান।

পশ্চিমা বিশ্বের দেশগুলো সেই সময় জানায়, ইরান পারমাণবিক ওয়ারহেড বহনে সক্ষম ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে।

আরও পড়ুন : ইসরায়েলি হামলায় ইরানের ১২ সেনা নিহত

তেহরানের এই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষাকে ছয় বিশ্ব শক্তির সঙ্গে ২০১৫ সালে ইরানের স্বাক্ষরিত পারমাণবিক চুক্তির লঙ্ঘন বলে দাবি করে তারা। তবে তেহরান বলছে, পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে কোনো ধরনের আপোষ কিংবা আলোচনায় বসবে না ইরান।

সূত্র : ইকোনমিক টাইমস।

এসআইএস/এমএস/এসজি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।