যশোরে উত্তরা ব্যাংকের বিরুদ্ধে ঋণ জালিয়াতির অভিযোগ


প্রকাশিত: ১২:০৬ পিএম, ২৪ আগস্ট ২০১৫

যশোরে দুটি বেসরকারি ব্যাংকের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎ ও ভুয়া বন্ধকি দলিলে ঋণ জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছে।  এতে প্রকৃত মালিকরা বিপাকে পড়েছেন। জমির মালিকদের না জানিয়ে আড়াই কোটি টাকার সম্পত্তি মর্টগেজ রেখে ১৫ লাখ টাকার ঋণ নিয়েছেন জনৈক শাহ আলম। উত্তরা ব্যাংক যশোর শাখার কতিপয় কর্মকর্তার সহযোগিতায় এ জালিয়াতির ঘটনা ঘটেছে। একই সঙ্গে দি সিটি ব্যাংক যশোর শাখায় সাড়ে ৮ লাখ টাকা আত্মসাত করা হয়েছে।  ব্যাংকের অসাধু কর্মকর্তাদের যোগসাজগে এ ঘটনা ঘটেছে বলে সোমবার যশোর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেছেন শহরের পূর্ব বারান্দী রোড লিচুতলা এলাকার আবু মিয়া জমাদ্দারের ছেলে একেএম আসাদুজ্জামান।

সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, শহরের বারান্দী মৌজার এসএ খতিয়ান নম্বর ৫৯৫ ও ৫৯৬, এসএ ২২৯৩ দাগের জমির মালিক মালেক মোহাম্মদ হাওলাদার ১৯৮৪ সালের ১৩ জুন ১০১৬৩ সাফ রেজিস্ট্রি দলিলে ১৮.৫০ শতক জমি ক্রয় করে বাড়ি নির্মাণ করেন। এরপর ১৯৯৬ সালে মালেক মোহাম্মদ হাওলাদার তার ওই জমি চার ছেলে মেয়ের নামে রেজিস্ট্রি করে দেন। পরবর্তীতে ওই জমির পিট দলিলটি হারিয়ে যায়।  যশোর সদরের খাজুরা বাজার রোডের সেতু প্লাজার মেসার্স জেস টেল’র প্রোপাইটার শাহ আলম সেই হারানো দলিল উত্তরা ব্যাংক যশোর শাখায় উপস্থাপন করে।  ব্যাংকের কতিপয় অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজসে নাম জারি আদেশ, ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ রশিদ, আর এস চূড়ান্ত রেকর্ড পর্চা, তল্লাসিপত্র, বন্ধকী জমির অবস্থান দখল স্বত্ত্বা নির্ণয়, চৌহদ্দি, ইমারত নির্মাণ, বন্ধকী জমির ছবি, টিপসহি ইত্যাদি জালিয়াতি করে ২০০৯ সালের ২৫ মার্চ ৩০৩৭ ও ৩০৩৮ রেজিস্ট্রি মর্টগেজ দলিলে মর্টগেজ রেখে ১৫ লাখ টাকা ঋণ গ্রহণ করেন।  এরপর ২০১৩ সালের ১০ এপ্রিল ব্যাংক কর্তৃপক্ষ ওই জমির ওয়ারিশগণকে অবগত না করে মালেক মোহাম্মদ হাওলাদারের নামে মামলা দায়ের করে। মৃত ব্যক্তির নামে মামলা দায়ের করায় হতবাক হয়েছেন স্বজনরা। এরপর ২০১৪ সালের ২৭ অক্টোবর পত্রিকায় নিলাম বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। অপরদিকে দি সিটি ব্যাংকের বিরুদ্ধেও সাড়ে ৮ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ করা হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে মালেক মোহাম্মদ হাওলাদারের মেয়ের জামাই একেএম আসাদুজ্জামান প্রধানমন্ত্রী, প্রধান বিচারপতি, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের হস্তপেক্ষপ কামনা করেছেন।

এদিকে উত্তরা ব্যাংক যশোর শাখার ব্যবস্থাপক শাহ আলম বলেন, জমির মূল দলিল পত্র ব্যাংকে রক্ষিত আছে। জমির মালিক মর্টগেজ রেখে ঋণ নিয়েছিলেন। কিন্তু পরিবারের সদস্যরা দাবি করছেন ঋণ নেয়নি। এ নিয়ে তারা আদালতে মামলা করেছেন। মামলাটি আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। আদালতই সিদ্ধান্ত দেবেন।

মিলন রহমান/এমএএস/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।