স্কুল জীবনের প্রেম, হাসপাতালে বিয়ে প্রেমিক যুগলের
১৯ বছরের রেশমা বেগম ও ২১ বছরের মোহাম্মদ নওয়াজ। স্কুল জীবন থেকে শুরু হয়েছিল দুজনের প্রেম। অল্প বয়সের মোহ ভেবে ততটা গুরুত্ব দেননি কেউই। কিন্তু সেই ভাবনায় ছিল বিস্তর ভুল। তাদের সম্পর্ক মেনে না নেয়ায় আত্মহত্যার পথ বেছে নেন যুগল। যদিও সেটাই শাপে বর হয়েছে। বাধ্য হয়ে ওই সম্পর্ক মেনে নিয়েছে দুই পরিবার।
ভারতের তেলেঙ্গানা রাজ্যের ভিকারাবাদ জেলায় মঙ্গলবার এই ঘটনা ঘটে। পরে শুক্রবার উভয়ের পরিবার হাসপাতালেই তাদের বিয়ের আয়োজন করে।
বিয়ের ছবিতে দেখা গেছে, হাসপাতালের বিছানায় বধূ সাজে রেশমার নাকে তখনও অক্সিজেনের নল পরানো। আর বর নওয়াজ হুইলচেয়ারে বসা, চোখেমুখে তীব্র যন্ত্রণার ছাপ।
নওয়াজ দূরসম্পর্কের ভাই হওয়ায় পরিবার তার সঙ্গে বিয়ে দেবে না বলে আশঙ্কায় ছিল রেশমা। এরমধ্যে পরিবার তার বিয়ের তোড়জোড় শুরু করলে আর কোনো উপায় নেই ভেবে কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যা করার চেষ্টা করে রেশমা। তাকে ভিকারাবাদ জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। খবর পেয়ে ওই হাসপাতালে যায় প্রেমিক নওয়াজ। প্রেমিকা রেশমার গুরুতও অবস্থা দেখে নওয়াজও আত্মহত্যা করার চেষ্টা করে সেই একই কীটনাশক খেয়ে।
এতেই পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে যায়। দুই পরিবার তাদের সম্পর্ক মেনে নিতে বাধ্য হয়। হাসপাতালেই কাজী ডেকে তাদের বিয়ের ব্যবস্থা করা হয়। হাসপাতালের বিছানাতেই চার হাত এক করা হয় রেশমা এবং নওয়াজের।
রেশমার এক আত্মীয়া বলেন, ‘এটা সত্যি যে আমরা তার বিয়ের জন্য পাত্র খুঁজতে শুরু করেছিলাম, কিন্তু সে আমাদের কখনোই নওয়াজের কথা বলেনি। আগে জানলে আমরা কখনোই এ ঘটনা ঘটতে দিতাম না।’
বর্তমানে তাদের ভিকারাবাদ হাসপাতাল থেকে ক্রওফ্রড মিশন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। প্রথমিক অবস্থায় রেশমার অবস্থা খুব খারাপ হলেও এই মুহূর্তে ওই নব দম্পতি সুস্থ আছেন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক ডা. বি অবিনাশ।
এমবিআর/এমএস