সিরিয়া থেকে সেনা নয়, অপ্রয়োজনীয় অস্ত্রশস্ত্র সরাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৯:১১ এএম, ১৩ জানুয়ারি ২০১৯

সিরিয়া থেকে সেনা নয় অপ্রয়োজনীয় অস্ত্রশস্ত্র সরানো শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র। যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়া থেকে সেনা প্রত্যাহারের প্রশ্নে যুক্তরাষ্ট্রের ভেতরে মতপার্থক্য তৈরি হওয়ায় সেনা না সরিয়ে আপাতত এসব অপ্রয়োজনীয় অস্ত্রশস্ত্র সরানো হচ্ছে। মার্কিন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি।

গত মাসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেন সিরিয়ায় মার্কিন জোটের কাছে জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট পরাজিত হয়েছে। খুব শিগগিরই দেশটিতে থাকা সব মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন তিনি।

ট্রাম্প যে সপ্তাহে সিরিয়া থেকে সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন সেই সপ্তাহেই কাজ শুরু করে মার্কিন প্রতিরক্ষা সদর দফতর পেন্টাগন। কিন্তু কবে কখন সিরিয়া থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের কাজ শুরু হবে সেই বিষয়ে ট্রাম্প ও তার প্রশাসনের অন্য সদস্যরা ভিন্ন ভিন্ন বক্তব্য দেন।

তাছাড়া ট্রাম্পের এমন সিদ্ধান্তের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেন তৎকালীন মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী জেমস ম্যাটিস। তিনি দাবি করেন আরও কিছুদিন দেশটিতে মার্কিন সেনা থাকার প্রয়োজন রয়েছে। কিন্তু ট্রাম্প তার দাবি মানতে অস্বীকৃতি জানান।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সেনা প্রত্যাহার ইস্যুতে মতানৈক্যের জেরে পদত্যাগ করেন তৎকালীন প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেমস ম্যাটিস। এছাড়াও এ ঘটনার দুই সপ্তাহের মাথায় পেন্টাগনের চিফ অব স্টাফ কেভিন সুয়েনিও পদত্যাগের ঘোষণা দেন।

গত রোববার ট্রাম্পের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টন স্থগিতাদেশের শর্ত ঘোষণা করেন যা অনির্দিষ্টকালের জন্য বিলম্বিত হতে পারে। তবে সামরিক বাহহিনীর একজন মুখপাত্র বলেন, সিরিয়া থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের কাজ ইতোমধ্যে শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

গত শুক্রবার মার্কিন প্রতিরক্ষা সদর দফতর পেন্টাগনের মুখপাত্র কমান্ডার রবার্টসন বলেন, ‘অপারেশন ইহারেন্ট রিজোলভ’ নামের একটি অপারেশনের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের সমন্বিত কাঠামোর মাধ্যমে উত্তর-পূর্ব সিরিয়া থেকে সেনা প্রত্যাহার বাস্তবায়নের কাজ করছে।

এসএ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।