জাকির নায়েককে ফেরত পাঠাতে আরও প্রমাণ চায় মালয়েশিয়া

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১:১২ এএম, ১২ জানুয়ারি ২০১৯

বিতর্কিত ইসলাম প্রচারক ও দণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি ড. জাকির নায়েককে ভারতে ফেরানোর বিষয়টি আবারও অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে। তাকে আশ্রয় দেয়া দেশ মালয়েশিয়ার সরকার জানিয়েছে, সেদেশে বসবাসকারী জাকিরের প্রত্যর্পণের জন্য আরও নথি ও প্রমাণ চায় তারা।

জাকির নায়েককে ভারতে ফেরাতে বছরখানেক আগে মালেশিয়ার কাছে আবেদন করেছিল দিল্লি। কিন্তু মালয়েশিয়ার ভবিষ্যৎ প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম সম্প্রতি ভারত সফরে গিয়ে বলেন, ‘বিষয়টি দেখা হচ্ছে। তবে ভারতের কাছ থেকে আরও তথ্য-প্রমাণ চাই।’

২০১৬ সালে ঢাকার গুলশনে হামলাকারী জঙ্গিদের কয়েকজন জাকির নায়েকের প্রচারে প্রভাবিত হয়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে। সেই সময় জাকির ওই অভিযোগ নাকচ করে বলেন, ‘আমি শান্তির দূত, কখনও সন্ত্রাসবাদে উৎসাহ দিইনি।’

তখন থেকে বিদেশেই আছেন জাকির নায়েক। তার বিরুদ্ধে অর্থ-পাচার ও ভারতে ধর্মীয় বিদ্বেষ ছড়ানোর অভিযোগ রয়েছে। গত বছর দেশটির একটি আদালত জানায়, ভারতের বিভিন্ন ধর্মীয় গোষ্ঠীর মধ্যে ধর্মীয় বিদ্বেষ ও ঘৃণার প্রচার করছেন জাকির নায়েক।

২০১৬ সালের নভেম্বরে ইউএপিএ-সহ ফৌজদারি দণ্ডবিধির বিভিন্ন ধারায় তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে ভারতের জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ।

২০১৭ সালে জাকিরের বিরুদ্ধে ‘রেড কর্নার নোটিশ’ জারির আবেদন জানায় ভারত। কিন্তু সেই প্রচেষ্টাকেও ধাক্কা দিয়ে ইন্টারপোল জানিয়ে দেয়, জাকিরের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপে যুক্ত থাকার প্রমাণ দিতে পারেনি দিল্লি। আইনি প্রক্রিয়াও ঠিকভাবে অনুসরণ করা হয়নি।

এবার আনোয়ার ইব্রাহিমের বক্তব্যও হতাশ করল দিল্লিকে। তিনি স্পষ্ট করে বলেছেন, ‘আপনারা নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন, মালয়েশিয়া সরকারের গোটা বিষয়টি আরও ভাল করে বোঝার প্রয়োজন রয়েছে। ভারতের অনুরোধের দিকটিকে আমরা সম্মান করছি। কিন্তু আমাদেরও আইন-কানুন রয়েছে।’

এর আগে গত বছরের জুলাইয়ে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদ বলেছিলেন, জাকির নায়েক মালয়েশিয়ায় কোনো ধরনের সমস্যা তৈরি করছেন না এবং তাকে ফেরত পাঠাবে না তার দেশ।

এমবিআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।