ভারত বনধ : বিভিন্ন স্থানে সহিংসতা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২:০০ পিএম, ০৮ জানুয়ারি ২০১৯

ন্যূনতম মজুরির বেসরকারিকরণের প্রতিবাদসহ একাধিক ইস্যুতে ১৮টি বাম সংগঠনের ডাকা ৪৮ ঘণ্টার ভারত বনধে দেশ জুড়ে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়েছে। এর প্রভাব পড়েছে পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িষ্যা, কেরালা, মহারাষ্ট্র, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশসহ প্রায় সব রাজ্যেই। মিশ্র প্রভাব পড়েছে উত্তরপ্রদেশ এবং মুম্বাইতে।

পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা, আসানসোল এবং হুগলি জেলায় সহিংসতা দেখা গেছে। আসানসোলে তৃণমূল কংগ্রেস এবং সিপিএম শ্রমিকরা সহিংসতায় জড়িয়ে পড়লে পুলিশ তাদের লাঠিচার্জ করতে বাধ্য হয়।

bandh

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি বলেছেন, তার সরকার যে কোন ধরনের বনধের বিরুদ্ধে। তিনি বলেন, আমরা কোন ধরনের বনধে সমর্থন না দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। যথেষ্ঠ হয়েছে। গত ৩৪ বছরে তারা (বামদল) বনধের নামে রাজ্য ধ্বংস করেছে। আর কোন বনধ হবে না।

কলকাতা থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে বারাসাতে একটি স্কুলবাস ভাঙচুর করা হয়েছে। সে সময় বাসটিতে দু'জন শিক্ষার্থী ছিল। তবে সৌভাগ্যবশত তাদের কোন ক্ষতি হয়নি। এছাড়া আসানসোল এবং হুগলিতেও বাস ভাঙচুর করা হয়েছে। অপরদিকে জাদবপুর, সোদেপুর, রিসরা এবং উত্তরপারায় ট্রেন সেবা ব্যহত হচ্ছে।

bandh

প্রতিবেশি ওড়িষ্যার ভুবনেশ্বরে শ্রমকল্যাণ সমিতি সিটিইউ বিক্ষোভে অংশ নিয়েছেন এবং রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে। কেরালার বিভিন্ন অংশেও ট্রেন সেবা ব্যহত হচ্ছে।

মঙ্গলবার থেকে দেশজুড়ে দু'দিনের সাধারণ ধর্মঘট ডেকেছে বাম সমর্থিত ১৮টি শ্রমিক সংগঠন। সোমবার মধ্যরাত থেকেই কেরালা এবং পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় বনধের প্রভাব পড়তে শুরু করে। মহীশূরের স্কুল-কলেজগুলোতে সোমবারই ছুটি ঘোষণা করা হয়। একই চিত্র দেখা গেছে ওড়িষ্যাতেও। সেখানেও মঙ্গলবার বন্ধ স্কুল-কলেজ বন্ধ রয়েছে।

টিটিএন/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।