খাশোগি হত্যা : বিচারের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন জাতিসংঘের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০:১১ এএম, ০৫ জানুয়ারি ২০১৯

সাংবাদিক জামাল খাশোগি হত্যাকাণ্ডের বিচার শুরু হয়েছে সৌদি আরবে। কিন্তু বিচারের নিরেপেক্ষতা থেকেই যাচ্ছে। যাদের নির্দেশে খাশোগিকে হত্যা করা হয়েছে তারাই যদি বিচার করে তাহলে সে বিচার নিয়ে প্রশ্ন ওঠাই স্বাভাবিক। খাশোগি হত্যার বিচার নিয়ে জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় বলছে, সৌদিতে খাশোগ হত্যার বিচার নিরপেক্ষ ও যথেষ্ট নয়।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, শুক্রবার জাতিসংঘের মুখপাত্র রবিনা শামদাসানি বলেন, আন্তর্জাতিক সম্পৃক্ততার মাধ্যমে খাশোগি হত্যার একটি স্বাধীন তদন্ত প্রক্রিয়া সম্পন্ন হোক। সৌদিতে খাশোগি হত্যাকাণ্ডের বিচার শুরু হওয়ার একদিন পর এমন মন্তব্য এলো জাতিসংঘের পক্ষ থেকে।

খাসোগি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গ্রেফতার সন্দেহভাজন ১১ জনের মধ্যে ৫ জনের বিচারের প্রথম শুনানি অনুষ্ঠিত হয় গত বৃহস্পতিবার। জাতিসংঘ বলছে, সেদিতে খাশোগি হত্যাকাণ্ডের বিচার হলে তার নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়।

গত বছরের দুই অক্টোবর তুরস্কের ইস্তাম্বুলে অবস্থিত সৌদি কনস্যুলেটে খাশোগিকে হত্যা করে সৌদির পাঠানো একটি কিলিং স্কোয়াড। ওয়াশিংটন পোস্টের কলাম লেখক খাশোগিকে হত্যার কথা প্রথমে অস্বীকার করলেও চাপের মুখে সৌদি কর্তৃপক্ষ স্বীকার করতে বাধ্য হয় যে কনস্যুলেটের ভেতরে খাশোগিকে তারাই হত্যা করেছে।

তুরস্কের তদন্ত কর্মকর্তাদের দাবি অনুযায়ী, একসময় সৌদি রাজপরিবারের ঘনিষ্ঠ ব্যক্তি থেকে রাজতন্ত্রের সমালোচক হয়ে ওঠা খাশোগিকে হত্যার পর তার মরদেহ টুকরো টুকরো করা হয়। আর এ হত্যাকাণ্ড পরিচালনার জন্য ১৫ সদস্যের একটি কিলিং স্কোয়াড পাঠিয়েছিল সৌদি আরব।

তাছাড়াও আরও বেশ কিছু প্রতিবেদনে জানানো হয়, খাশোগিকে হত্যার পর তার মরদেহ এসিডের মাধ্যমে পুড়িয়ে অদৃশ্য করা হয়। ঘটনার পর তুরস্কের গোয়েন্দা সংস্থা ও পুলিশ ইস্তাম্বুলের ওই সৌদি কনস্যুলেট ও আরও বেশ কিছু স্থানে তল্লাশি অভিযান চালায়।

এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে সৌদিতে আটক ১১ ব্যক্তিতে তুরস্কে বিচারের মুখোমুখি করার জন্য হস্তান্তরের দাবি জানায় জানায় আঙ্কারা। কিন্তু সৌদি আরব তুরস্কের এ দাবি প্রত্যাখান কের বলে, তারা তাদের কোনো নাগরিককে অন্য দেশের কাছে হস্তান্তর করে না।

যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা সিআইএ তুরস্কে যায় হত্যাকাণ্ডের তদন্তের উদ্দেশে। তদন্ত শেষে তারা জানায়, এ হত্যাকাণ্ডের নির্দেশ এসছে সৌদি রাজপরিবারের উপরমহল থেকে। তাদের দাবি রাজতন্ত্রের ওই ক্ষমতাধর ব্যক্তিটি হলেন সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান।

এসএ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।