মেয়েরা সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারে বেশি অবসাদে ভোগে : গবেষণা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৪:২১ পিএম, ০৪ জানুয়ারি ২০১৯

প্রাযুক্তিক এই উকর্ষতার যুগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম একটি অন্যতম অনুষঙ্গ। এই মাধ্যম ব্যবহার করে মানুষ একে অপরের সঙ্গে যুক্ত হতে পারছে। আর এ তালিকায় সবার উপরে আছে কিশোর-কিশোরীরা। তবে সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার করা কমবয়সীদের মধ্যে আশঙ্কাজনকভাবে মানসিক অবসাদ বাড়ছে। আর গবেষণা বলছে, এক্ষেত্রে ছেলেদের চেয়ে বেশি ভুক্তভোগী হলেন মেয়েরা।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন একটি গবেষণার বরাত দিয়ে এমন তথ্যই জানিয়েছে। গত বৃহস্পতিবার গবেষণা নিবন্ধটি প্রকাশিত হয়েছে। আর গবেষণাটি পরিচালনা করেছে, যুক্তরাজ্যের ই-ক্লিনিকাল মেডিসিন নামের একটি জার্নাল।

গবেষণা নিবন্ধের বিশ্লেষণ করা তথ্যমতে, ১৪ বছর বয়সীদের মধ্যে সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারে অবসাদে ভোগার সংখ্যা বেশি। আর এক্ষেত্রে ছেলেদের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে মেয়েরা। বিভিন্ন ভাবে বাছাই করা ছেলে-মেয়েদের মানসিক অবস্থার মূল্যায়নের ভিত্তিতেই গবেষণাটি পরিচালিত হয়েছে।

গবেষণা নিবন্ধটির প্রধান গবেষক ও যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের এপিডেমিওলোজি অ্যান্ড পাবলিক হেলথ বিভাগের অধ্যাপক ইয়োভনি কেলি বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারের ফলে মানসিক অবসাদে ভোগা ছেলে ও মেয়েদের মধ্যে মাত্রার তারতম্য মারাত্মক।

গবেষণা অনুযায়ী, কমবয়সীদের মধ্যে যারা অনেক সময় অর্থাৎ দিনে পাঁচ ঘণ্টার বেশি সময় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে তাদের মধ্যে নানা ধরনের মানসিক অবসাদের উপসর্গ দেখা দেয়। আর মেয়েদের ৫০ শতাংশের বিপরীতে ছেলেদের ক্ষেত্রে তা ৩৫ শতাংশ।

অধ্যাপক ইয়োভনি কেলি বলেন, ‘ছেলে ও মেয়েদের মধ্যে এই পার্থক্য দেখে প্রথমে আমরা কিছুটা আশ্চর্য হয়েছিলাম। তবে সত্যটা হচ্ছে, আমাদের সংগ্রহ করা তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে দেখা যাচ্ছে সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারের ফলে অল্পবয়সীরা যে মানসিক অবসাদে ভোগে সেটা ছেলেদের চেয়ে মেয়েদের অনেক বেশি দিন দীর্ঘস্থায়ী হয়।’

উল্লেখ্য, এই গবেষণার জন্য ১৪ বছর বয়সী ১০ হাজার ৯০৪ জনের মানসিক অবস্থা বিশ্লেষণ করা হয়। আর এসব ছেলে-মেয়ের প্রায় সবার জন্ম ২০০০ থেকে ২০০২ সালের মধ্যে।

এসএ/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।