ঈর্ষা নিয়ে প্রাঙ্গণেমোর
সুপরিচিত নাট্যদল ‘প্রাঙ্গণেমোর’র ৮ম প্রযোজনা সৈয়দ শামসুল হকের কাব্যনাটক ‘ঈর্ষা’। নাটকটি মঞ্চায়িত হতে যাচ্ছে ২৫ আগস্ট সন্ধ্যা ৭টায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার মূল হলে।
দীর্ঘ ৮ মাস পর নাটকটি মঞ্চায়িত হচ্ছে। ‘ঈর্ষা’ নাটকটি নির্দেশনা দিয়েছেন অনন্ত হিরা। নাটকটিতে অভিনয় করেছেন নূনা আফরোজ, রামিজ রাজু ও অনন্ত হিরা। মঞ্চ পরিকল্পনা করেছেন শাহীনুর রহমান, আলো জিল্লুর রহমান, সংগীত রামিজ রাজু ও পোশাক নূনা আফরোজ।
ঈর্ষা’র কথা
প্রেমিকের হৃদয় যদি পোড়েতো একমাত্র ঈর্ষার আগুনেই পোড়ে-ঈর্ষায় যে পোড়েনি, প্রেম সে হৃদয়ে ধরেনি, ঈর্ষা এক ঠান্ডা নীল আগুন।
‘ঈর্ষা’ নামের কাব্যনাটকের গল্প এতোটাই জীবন থেকে জীবনে বিস্তৃত আর দ্বন্দ্ব সংঘাতে মুখর যা বর্ননাতীত। সেই সঙ্গে আছে আবার শিল্পের সঙ্গে শিল্পের দ্বন্দ্ব। আছে শিল্পীর সাথে শিল্পীর দ্বন্দ্বও। আছে মানুষের সঙ্গে মানুষের এবং শিল্পীর সঙ্গে শিল্পীর প্রেম, ভালোবাসা; আছে মানব জীবনের আরেক অপরিহার্য এবং অত্যন্ত গোপন বিষয় শারিরীক সম্পর্ক বা যৌনতার কথা। আছে রূপসী বাংলার, শ্যামল উজ্জ্বল, রূপশালী গর্ভবতী ধানের বাংলার রূপের বর্ণনা, আছে মুক্তিযুদ্ধের মুল্যবোধও। সব মিলিয়ে জীবন ও জীবন উত্তীর্ণ শিল্পের নানা প্রসঙ্গের এতো এতো বিষয় যে শিল্প সম্পর্কে নাট্যকার বলেছেন, ‘শিল্পের তুলনায় জীবন বড়ই ক্ষণস্থায়ী।’ অথবা ‘প্রেম যদি প্রতারণা করে শিল্প দেবে আমাকে আশ্রয়- আমার শিল্পের হাত কেঁড়ে নেয় আছে সাধ্য কার?’
উল্লেখ্য, নাটকটিতে সংলাপ মাত্র ৭টি এবং চরিত্র ৩টি। নাটকটির সবচেয়ে বড় সংলাপের ব্যাপ্তি ৩৬ মিনিট এবং সবচেয়ে ছোট সংলাপটি ১৬ মিনিট ব্যপ্তিকালের। এ রকম কাঠামোতে নাটক লেখার নিরীক্ষা এর পূর্বে বাংলা ভাষায় হয়নি এই কথাটি সন্দেহাতীতভাবেই বলা যায়।
এলএ/এমএস