ফের সুনামি আঘাত হানতে পারে ইন্দোনেশিয়ায়

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০১:১১ পিএম, ২৯ ডিসেম্বর ২০১৮

ফিলিপাইনের দক্ষিণাঞ্চলে ৬ দশমিক ৯ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। এর ফলে ছোট সুনামির ঢেউ আঘাত হানতে পারে ইন্দোনেশিয়ার বিভিন্ন অংশে। ফিলিপাইন এবং পালাও অঞ্চলের বিশেষজ্ঞরা এ তথ্য জানিয়েছেন।

প্রশান্ত মহাসাগরীয় সুনামি সতর্কতা কেন্দ্র শনিবার জানিয়েছে, ৩০ সেন্টিমিটারের কম উচ্চতার স্রোত ইন্দোনেশিয়ার উপকূলে আঘাত হানতে পারে। তবে ফিলিপাইনের দক্ষিণাঞ্চলীয় মিনদানাও দ্বীপে আঘাত হানা ভূমিকম্প থেকে কোন ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ জানিয়েছে, ফিলিপাইনের জেনারেল সান্তোস শহরের ১৯৩ কিলোমিটার পূর্বে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। এর গভীরতা ছিল ৬০ কিলোমিটার।

প্রাথমিকভাবে মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ ভূমিকম্পের মাত্রা ৭ দশমিক ২ বলে জানালেও পরে তা কমিয়ে ৬ দশমিক ৯ মাত্রা বলে উল্লেখ করা হয়।

শুক্রবার ইন্দোনেশিয়ার পশ্চিমাঞ্চলীয় পাপুয়া প্রদেশে ৬ দশমিক ১ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে। মাত্র এক সপ্তাহ আগেই দেশটিতে ভয়াবহ সুনামিতে চার শতাধিক মানুষ প্রাণ হারায়।

শুক্রবারের ভূমিকম্প বেশ শক্তিশালী ছিল। স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, বেশ কয়েক সেকেন্ড ধরেই তীব্র কম্পন অনুভূত হয়েছে। তবে ওই ভূমিকম্প থেকে কোন ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

মানোকোয়ারির শহরের কাছে স্থল এলাকায় ৫৫ কিলোমিটার গভীরে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। তবে ওই ভূমিকম্প থেকে কোন সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়নি। গত কয়েক বছরে দেশটিতে বেশ কয়েকবার সুনামি আঘাত হেনেছে।

এর আগে ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে ইন্দোনেশিয়ার পালু শহরে ৭ দশমিক ৫ মাত্রার ভূমিকম্প থেকে সৃষ্ট সুনামির আঘাতে দুই হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়। এছাড়া আরও কয়েক হাজার মানুষ নিখোঁজ হয়।

অপরদিকে, ২০১০ সালে ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা দ্বীপের পশ্চিমাঞ্চলীয় মেনতাওয়াই দ্বীপে ভূমিকম্প আঘাত হানার কয়েক মিনিটের মধ্যেই ১০ ফুট উচ্চতার সুনামি আঘাত হানে। এতে চার শতাধিক মানুষ নিহত হয়। এছাড়া আরও কয়েকশ বাড়ি-ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এর আগে ২০০৬ সালে দক্ষিণাঞ্চলীয় জাভা উপকূলে সুনামির আঘাতে কমপক্ষে ৬৬৮ জন নিহত হয়।

টিটিএন/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।