চোখের ইশারায় চলে যে কফিশপ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৬:২০ পিএম, ২৬ ডিসেম্বর ২০১৮

টোকিওর ডন ভের বিটা ক্যাফে। রোবটরাই এই রেস্তরাঁয় খাবার পরিবেশন করে। তবে এ ছাড়াও অন্য একটি কারণে এটি এক্কেবারে আলাদা। কেননা এই রোবটদের যারা নিয়ন্ত্রণ করেন তারা শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধী। তাই শারীরিক প্রতিবন্ধী মানুষরা নিজের হাত দিয়ে নয় চোখের ইশারায় পরিচালিত করেন ওসব রোবটকে।

আনুমানিক চার ফুট লম্বা ওই রোবটগুলোর নাম ওরিহাইম ডি। তাদেরই নিয়ন্ত্রণ করছেন ওই শারীরিকভাবে চলাচলে অক্ষম ব্যক্তিরা। অ্যামিওট্রফিক ল্যাটারাল স্ক্লেরোসিস বা এ জাতীয় শিরদাঁড়ার সমস্যায় যারা শয্যাশায়ী, তারাই রোবটগুলিকে চালনা করেন। আর একটা কথা ওই রোগীদের বেশিরভাগই কিন্তু পক্ষাঘাতগ্রস্ত।

ওই ব্যক্তিদের চোখের পাতার নড়াচড়ার সঙ্গে কম্পিউটারের সংযোগ রয়েছে। ঠিক যে ভাবে মোটর নিউরন রোগে আক্রান্ত বিজ্ঞানী স্টিফেন হকিং যোগাযোগ রাখতেন বাইরের জগতের সঙ্গে। এই রোগকে জয় করেই তিনি নিরন্তর গবেষণা চালিয়েছেন অনেক দিন।

রোবটগুলো নড়াচড়া করতে পারে, জিনিসপত্র ওঠানামা করতে পারে, ক্রেতাদের সঙ্গে টুকটাক কথাবার্তাও বলতে পারে তারা। যে মানুষগুলো অনেক সময়ই হতাশায় অবসাদগ্রস্ততায় ভোগেন, নিজেদের অক্ষম ভাবেন, তারা যেন নিজেদের মূল্য বোঝেন, গুরুত্ব বোঝেন, তাই তাদের নেওয়া হয়েছে এই প্রকল্পে।

শরীর নড়াচড়া করতে না পারলেও যাতে কাজ চালিয়ে যেতে পারেন ওই ব্যক্তিরা, এমন ভাবনা থেকেই এর প্রতিষ্ঠা। ওরি ল্যাবের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কেন্তারো ইউসিফুসি জানান, প্রাথমিক পর্যায়ের কাজ শুরু হলেও ২০২০ সালে এটি স্থায়ীভাবে কাজ শুরু হবে। এই রেস্তরাঁর ভাবনাও তারই। এই ব্যক্তিদের প্রতি ঘণ্টায় আয় নয় ডলারের একটু বেশি।

এসএ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।