জাপানে রেকর্ড মৃত্যুর সঙ্গে জন্মহার তলানিতে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২:২৫ পিএম, ২৪ ডিসেম্বর ২০১৮

চলতি বছর ইতহাসে প্রথমবারের মতো রেকর্ড পরিমাণ জনসংখ্যা হ্রাস একইসঙ্গে মৃত্যুর ক্ষেত্রেও রেকর্ড তৈরি করেছে জাপান। দেশটির সরকারি পরিসংখ্যানের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন।

শুক্রবার জাপানের স্বাস্থ্য, শ্রম ও জনকল্যান বিষয়ক মন্ত্রণালয় এক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। ওই প্রতিবেদনে দেখা যায়, এশিয়ার এই জাতিরাষ্ট্রটিতে এবার রেকর্ড পরিমাণ জন্মহার হ্রাস পেয়েছে। ২০১৮ সালে দেশটিতে শিশুজন্ম হ্রাস পেয়েছে আনুমানিক ৯ লাখ ২১ হাজারের মতো। যা ১৮৯৯ সালের পর রেকর্ড সর্বনিম্ন।

সরাকারিভাবে প্রকাশিত ওই পরিসংখ্যান বলছে, ২০১৭ সালে দেশটিতে যত নবজাতক জন্মগ্রহণ করেছে তার চেয়ে এবার জন্মগ্রহণ করা নবজাতকের সংখ্যা প্রায় ২৫ হাজার কম। আর এরকম ভাবে চলতে থাকলে তিন বছরে দেশটিতে শিশু জন্মহার কমবে প্রায় ১০ লাখ।

এদিকে ২০১৮ সালে রেকর্ড পরিমাণ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এ বছর জাপানে প্রায় ১৩ লাখ ৬০ হাজার ৯০০ জন মানুষের মৃত্য হয়েছে। যা যুদ্ধপরবর্তী সময়ের মধ্যে সর্বোচ্চ। আর হিসাব করে দেখা গেছে, চলতি বছর সব মিলিয়ে দেশটির জনসংখ্যা কমেছে প্রায় ৪ লাখ ৪৮ হাজার। যা দেশটির ইতিহাসে রেকর্ড পরিমাণ সর্বোচ্চ।

জাপানকে ‌‘সুপার এজড’ বা দীর্ঘায়ুর দেশ বলা হয়। কেননা দেশটির মোট জনসংখ্যার প্রায় ২০ শতাংশের বেশি মানুষের বয়স ৬৫ বছরের ঊর্ধ্বে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, চলতি বছরে দেশটির মোট জনগণ ১২ কোটি ৪০ লাখ। কিন্তু আশঙ্কা করা হচ্ছে যে এই মোট জনসংখ্যার পরিমাণ কমে গিয়ে দঁড়াবে ৮ কোটি ৮০ লাখে।

জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো অ্যাবের প্রত্যাশা ২০২০ সালের মধ্যে কোনোভাবেই যেন দেশটির জনসংখ্যা ১০ কোটির নিচে না নামে। তাই ২০১৭ সালে দেশটির সরকার শিশুজন্মহার যেন হ্রাস না হয় সেজন্য প্রায় ১৮ বিলিয়ন ডলার ব্যয়ের ঘোষণা দেয়। আর এই অর্থ ব্যয় করা হবে প্রাক-প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অর্থাৎ তিন থেকে পাঁচ বছর বয়সী শিশু ও স্বল্প আয়ের পরিবার গুলোর দুই বছর বয়সী শিশুদের পেছনে।

এসএ/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।