ইন্দোনেশিয়ায় নিহত বেড়ে ২৮১, ফের সুনামির আশঙ্কা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০:২১ এএম, ২৪ ডিসেম্বর ২০১৮

ভয়াবহ সুনামিতে আবারও বিপর্যস্ত ইন্দোনেশিয়া। শেষ সংবাদ পাওয়া পর্যন্ত সুনামির কবলে পড়ে প্রাণ হারিয়েছেন ২৮১ জন ও মারাত্মকভাবে আহত হয়েছেন ১ হাজার ১৬ জন। নিখোঁজের সংখ্যা তো অগণন। এরই মধ্যে অ্যানাক ক্রাকাতোয়ার সমুদ্র উপকূলবর্তী বাসিন্দাদের সতর্ক করা হয়েছে যে নতুন করে আরও একটি সুনামি আঘাত হানার আশঙ্কা করা হচ্ছে।

গত শনিবার রাতে কোনো রকম পূর্বসতর্কতা না পাওয়ায় এত মানুষ হতাহত হন বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে ইন্দোনেশিয়ার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তপক্ষ বলছে, কোনো রকম পূর্বাভাস ছাড়াই সুনামিটি অতির্কিতে আঘাত হেনেছে তাই সুনামি সতর্কতা জারি করা সম্ভব হয় ন।

ইন্দোনেশিয়ান জিওফিজিক্যাল এজেন্সি ধারণা করছে, ক্রাকাতোয়া আগ্নেয়গিরি থেকে অগ্ন্যুৎপাতের ফলে সাগরতলে ভূমিধসের কারণেই এই সুনামির উৎপত্তি। এর সঙ্গে পূর্ণিমার প্রভাব যুক্ত হওয়ায় বিপুল শক্তি নিয়ে সৈকতে আছড়ে পড়েছে সুনামির ঢেউ। আবারও সুনামি আঘাত হানতে পারে আশঙ্কায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ জনগণকে উপকূলীয় এলাকা থেকে নিরাপদ দূরুত্বে অবস্থান করতে বলেছে।

সুনামির পর থেকেই উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রেখেছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা। কিন্তু রাস্তাগুলো চলাচলের অনুপোযোগী হয়ে পড়ায় উদ্ধার কার্যক্রম ব্যহত হচ্ছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা বলছে, ধ্বংসস্তূপের নিচে কেউ জীবিত থাকতে পারে এই আশায় উদ্ধারকর্মীরা জোর অভিযান চালাচ্ছে।

Tsunami-2

দেশটির জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থার মুখপাত্র সুতোপো পুরো নুগ্রহো এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘আবার একটি সুনামি আঘাত হানতে পারে। কেননা অ্যানাক ক্রাকাতুয়া আগ্নেয়গিরিটিতে এখনও অগ্ন্যুৎপাত অব্যাহত রয়েছে। যে কোনো সময় আরেকটি সুনামি শুরু হতে পারে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আবহাওয়া, জলবায়ু ও ভূ-তাত্ত্বিক সংস্থাগুলো সুপারিশ করেছেন যে, ‌সমুদ্র সৈকতগুলোতে সাধারণ মানুষেরা কোনো অবস্থাতেই তাদের স্বাভাবিক কার্যক্রম পরিচালনা করবে না। তাছাড়া কিছু সময়ের জন্য তাদেরকে উপকূলীয় এলাকা থেকে দূরে থাকার আহ্বান জানিয়েছেন তারা।

এসএ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।