যুক্তরাজ্যের গ্রামীণ ফাউন্ডেশন দেউলিয়া
যুক্তরাজ্যের স্কটল্যান্ডে অনগ্রসর ব্যক্তিদের ক্ষুদ্রঋণ দেয়া গ্রামীণ ফাউন্ডেশন স্কটল্যান্ড নামের একটি প্রতিষ্ঠান দেউলিয়া হয়ে বন্ধ হয়ে গেছে। প্রতিষ্ঠানটির পরিচালকদের একজন ছিলেন বাংলাদেশের গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। স্কটল্যান্ডের ওই ক্ষুদ্র ঋণ ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানটি থেকে যারা ঋণ নিয়েছেন, তাদের অনেকে ঋণ পরিশোধ না করার কারণে প্রতিষ্ঠানটি আর্থিক সংকটে পড়ে।
এ অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিষ্ঠানটিতে একজন আর্থিক কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়েছে। তার দায়িত্ব প্রতিষ্ঠানটির সম্পত্তি বিক্রি করে যতটা সম্ভব দেনা পরিশোধ করা। বেশ কয়েকজন গ্রাহক তাদের বকেয়া পরিশোধে ব্যর্থ হলে গ্লাসগোর এই প্রতিষ্ঠানটির সংকট শুরু হয়।
বাংলাদেশের নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক মুহাম্মদ উইনূসের প্রতিষ্ঠিত গ্রামীণ ব্যাংকের পদ্ধতি অনুসরণ করে ২০১২ সালে এই প্রতিষ্ঠানটি স্থাপিত হয়েছিল। এই ফাউন্ডেশনেরও ছয়জন পরিচালকের একজন ছিলেন অধ্যাপক ইউনূস, যেটি যুক্তরাজ্যের গ্রামীণ হিসাবেই বিবেচিত হয়ে আসছিল।
গ্লাসগোর ক্যালডোনিয়ান বিশ্ববিদ্যালয়কেন্দ্রিক গ্রামীণ ফাউন্ডেশন স্কটল্যান্ড সেইসব মানুষদের ঋণ দিতো, যাদের প্রধান অর্থায়নকারী প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে ঋণ দেয়া হতো না। প্রতিষ্ঠানটির লক্ষ্য ছিল-যুক্তরাজ্যের অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়া মানুষদের আর্থিক অবস্থার উন্নতি করা, প্রাথমিকভাবে যা পশ্চিম স্কটল্যান্ড থেকে শুরু করা হয়েছে।
২০১২ সালে কর্মকাণ্ড শুরু করার পর প্রতিষ্ঠানটি ১ হাজার মানুষের মধ্যে ঋণ বিতরণ করে। কিন্তু অনেক ঋণগ্রহীতা ঋণ পরিশোধ না করায় প্রতিষ্ঠানটি সংকটের মধ্যে পড়ে।
প্রতিষ্ঠানটির সম্পত্তি ও দেনা ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব নেয়া ডানকান এলএলপির কর্মকর্তা, ব্রায়ান মিলনে বলেছেন, ‘প্রতিষ্ঠানের সব কার্যক্রম এখন বন্ধ হয়ে গেছে। গ্রামীণ স্কটল্যান্ড ফাউন্ডেশন এখন আর তাদের ব্যবসা চালাতে পারবে না, যেহেতু তাদের ঋণের পরিমাণ অপূরণীয় পর্যায়ে পৌঁছে গেছে।’
‘ঋণগ্রহীতাদের কাছে প্রতিষ্ঠানটির প্রায় তিন লাখ পাউন্ডের (বাংলাদেশি টাকায় প্রায় সোয়া তিন কোটি টাকা) ঋণ রয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির ধসের কারণ হচ্ছে যে, অনেক ঋণগ্রহীতা তাদের বকেয়া পরিশোধ না করার কারণে সেটি আর্থিক অবস্থার ওপর বড় প্রভাব পড়েছে। প্রতিষ্ঠানটি দেউলিয়া হয়ে পড়ায় ব্যবসা গুটিয়ে ফেলার আবেদন করেছেন পরিচালকরা’-যোগ করেন মিলনে।
সূত্র: বিবিসি বাংলা
এসআর/জেআইএম