সুনামির আঘাতে ইন্দোনেশিয়া যেন মৃত্যু উপত্যকা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০১:১৬ পিএম, ২৩ ডিসেম্বর ২০১৮

সুনামির আঘাতে ইন্দোনেশিয়া যেন মৃত্যু উপত্যকায় পরিণত হয়েছে। রোববার স্থানীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সুনামিতে এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ১৬৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছে আরও ৭৪৫ জন। এছাড়া নিখোঁজ রয়েছে আরও ৩০ জন।

দেশের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা জানিয়েছে, শনিবারের ওই সুনামির আঘাতে শত শত বাড়ি-ঘর ধ্বংস হয়ে গেছে। সুন্দা স্ট্রেইট উপকূলীয় এলাকায় আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের প্রভাবে সুনামির সৃষ্টি হয়েছে। জাভা দ্বীপ ও সুমাত্রার মাঝখানে অবস্থিত সুন্দা স্ট্রেইট উপকূল জাভা সাগরকে ভারত মহাসাগরের সঙ্গে সংযুক্ত করেছে।

তবে আগে থেকে সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়নি। হঠাৎ করেই সুনামির আঘাতে জনজীবনে বিপর্যয় নেমে এসেছে। প্রবল সামুদ্রিক জলোচ্ছ্বাসে শত শত বাড়ি-ঘর পানিতে তলিয়ে গেছে। স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ৯টার দিকে দক্ষিণাঞ্চলীয় সুমাত্রা এবং পশ্চিমাঞ্চলীয় জাভা উপকূলে আঘাত হানে সুনামি।

 

tsunami

ক্র্যাকাটোয়া আগ্নেয়গিরি থেকে অগ্ন্যুৎপাতের কারণেই সুনামি সৃষ্টি হয়েছে। ওই আগ্নেয়গিরি থেকে আবারও অগ্ন্যুৎপাত শুরু হয়েছে। জীবিতদের উদ্ধারে ইতোমধ্যেই তল্লাশি ও উদ্ধার অভিযান শুরু করেছে উদ্ধারকারী দল। সুনামির কারণে বিভিন্ন স্থানে গাছ উপড়ে গেছে। কারিতা বীচের মোহাম্মদ বিনতাং বলেন, আকস্মিক পানির স্রোতে পর্যটন শহর অন্ধকারচ্ছন্ন নগরীতে পরিণত করেছে।

১৫ বছর বয়সী ওই কিশোর বলেন, ছুটি কাটাতে রাত ৯টার দিকে আমরা ওই বীচে পৌঁছাই এবং হঠাৎ করেই পানি চলে আসে। সব কিছু অন্ধকার হয়ে যায়, বিদ্যুৎও চলে যায়। চারপাশ নোংরা হয়ে গেছে। আমরা এখনও রাস্তায় বের হতে পারছি না।

কর্তৃপক্ষ বলছে, আগ্নেয়গিরি অগ্ন্যুৎপাত থেকে পানির নিচে ভূমিধস এবং নতুন চন্দ্রের কারণেই হয়তো জাভা এবং সুমাত্রার মধ্যবর্তী ছোট দ্বীপ সুন্দায় সুনামি আছড়ে পড়েছে।

সুনামিতে নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে ইন্দোনেশিয়া কর্তৃপক্ষ বলেছিল এই জলের স্রোত সুনামি নয়। লোকজনকে আতঙ্কিত না হওয়ার জন্যও আহ্বান জানানো হয়েছিল।

পরে এক টুইট বার্তায় এ জন্য ক্ষমা চাওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, কোন ধরনের ভূমিকম্প থেকে সুনামি আঘাত হানেনি। হঠাৎ করেই এমন সুনামির কারণ নির্ণয় করা কঠিন হয়ে পড়েছিল। টুইটে আরও বলা হয়েছে, যদি প্রাথমিকভাবে কোনো ত্রুটি হয়ে থাকে তবে আমরা দুঃখিত।

সুনামিতে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে জাভার পশ্চিমাঞ্চলীয় পেনদাংলাং জেলা। সেখানে কমপক্ষে ৩৩ জন নিহত এবং আরও ৪৯১ জন আহত হয়েছেন। এছাড়া সেরাংয়ের উত্তরাঞ্চলে তিনজন এবং সুমাত্রার দক্ষিণাঞ্চলীয় লামপুংয়ে সাতজনের মৃত্যু হয়েছে।

টিটিএন/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।