অভিবাসীদের জাহাজ থেকে মা ও নবজাতককে তুলে নিলো বিমান

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৮:৪৮ এএম, ২৩ ডিসেম্বর ২০১৮

মাল্টার একটি বিমান অভিবাসীদের একটি জাহাজ থেকে নবজাত শিশু এবং তার মাকে হেলিকপ্টারের মাধ্যমে জাহাজ থেকে তুলে নিয়েছে।

শুক্রবার লিবিয়ার কাছে সমুদ্র থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়। জাহাজটি স্পেনের অভিবাসী উদ্ধারকারী জাহাজ। ওই জাহাজে আরও তিনশো মানুষ রয়েছে।

এই ঘটনা নিয়ে বাকযুদ্ধ শুরু হয়েছে কয়েকটি দেশের মধ্যে। মাল্টার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে এই তিনশো জনের খাবার দেয়নি তারা। তবে মাল্টা এই অভিযোগ নাকচ করে দিয়েছে।

প্রোএকটিভিয়া চ্যারিটি নামে একটি প্রতিষ্ঠান বলছে, শিশুটি তিন দিন আগে লিবিয়ার একটা সমুদ্র সৈকতে জন্ম নেয় এবং তার জীবন এখন শঙ্কার মধ্যে রয়েছে।

প্রোএকটিভিয়ার নৌকা মাল্টা, ইতালিতে প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি। এদিকে ফ্রান্স , তিউনেশিয়া এবং লিবিয়ার কাছে সাহায্য চেয়ে কোন লাভ হয়নি।

মাল্টার একজন মুখপাত্র বলেছেন, বিমানে করে উদ্ধারের ঘটনাটি করা হয়েছে মাল্টার নিয়ম নীতির বাইরে গিয়ে।

এর আগে এই দাতব্য সংস্থাটি ইন্সটাগ্রামে পোস্ট করেছিল ৩১১ জন অভিবাসীকে উদ্ধার করা হয়েছে যার মধ্যে অন্তঃসত্ত্বা নারী ও শিশুরা রয়েছে।

সমুদ্রে তাদের নিশ্চিত মৃত্যুর হাত থেকে বাচাঁনো হয়েছে। তারা এটাও জানায় মাল্টা তাদেরকে খাবার সরবরাহ করা থেকে বিরত থেকেছে।

এদিকে ইতালির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী টুইট বার্তায় জানিয়েছেন ইতালির বন্দরগুলো বন্ধ এবং অভিবাসীদের সেখানে ঢুকতে দেয়া হবে না।

তিনি একটি খাবারের ছবি পোষ্ট করেন এবং লেখেন তিনি ভালোভাবে খেয়েছেন।

সঙ্গে সঙ্গে এর উত্তরে প্রোএকটিভিয়াসের প্রতিষ্ঠাতা অস্কার ক্যাম্প বলেছেন পরবর্তী প্রজন্ম তাকে নিয়ে লজ্জিত হবে।

ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশন বলছে, এই বছরের শুরু থেকে ইতালি এবং মাল্টা যাওয়ার পথে ১৩শর বেশি মানুষ মারা গেছে।

জাতিসংঘ বলছে, যারা লিবিয়া হয়ে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে যাওয়ার চেষ্টা করছে তারা 'অকল্পনীয় ভীতিকর' অবস্থার মধ্যে পড়ছে।

বেশিরভাগ নারী এবং কিশোরী মেয়েরা বলছে তারা চোরাচালানকারী বা মানবপাচারকারীদের কাছে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন।

সূত্র : বিবিসি

এমবিআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।