প্রতিবেশী শিশুর জন্য ১৪ বছরের ক্রিসমাস উপহার মৃত্যুপথযাত্রীর

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০১:৪৬ পিএম, ১৯ ডিসেম্বর ২০১৮

কিছুদিন আগে মারা যাওয়া একজন বৃদ্ধ তার প্রতিবেশী এক শিশুর জন্য বহু বছরের ক্রিসমাস উপহার রেখে গেছেন। যুক্তরাজ্যের একটি পরিবার এটা জেনে হতবাক হয়ে গেছে যে, তাদের দুই বছরের মেয়ে ক্যাডির জন্য আগামী ১৪ বছরের ক্রিসমাস উপহার রেখে গেছেন তাদের এক প্রতিবেশী। ওই বৃদ্ধ প্রতিবেশী কিছুদিন আগেই মারা গেছেন।

যুক্তরাজ্যের ভেল অব গ্লামোরগানের ব্যারি শহরে ওয়েন এবং ক্যারোলিন উইলিয়ামের কাছাকাছি একটি বাসায় গত দুই বছর ধরে বসবাস করতেন কেন। তার বয়স ছিল আশি বছরেরও বেশি। তিনি একসময় গভীর সমুদ্রে ডুবুরি হিসাবে কাজ করতেন, তবে অনেক আগেই অবসর নেন তিনি।

উইলিয়ামস দম্পতি জানিয়েছে, তাদের দুই বছরের কন্যা ক্যাডিকে খুব ভালোবাসতেন কেন। কিছুদিন আগে তিনি মারা যান। এরপর গত সোমবার সকালে কেনের মেয়ে এসে উইলিয়ামসদের দরজায় নক করেন। তখন তার হাতে ছিল উপহারের একটি বাক্স।

baby-2

ক্যাডির বাবা বলেন, তার হাতে ছিল বিশাল একটি প্লাস্টিকের ব্যাগ। আমি ভেবেছিলাম তার মধ্যে হয়তো নানা আবর্জনা ভরা আছে, যা হয়তো সে আমাকে ফেলে দিতে বলবে। কিন্তু সে বললো, এই ব্যাগে ক্যাডির জন্য তার বাবা কিছু উপহার রেখে গেছেন।

সেখানে সবগুলোই ছিল ক্যাডির জন্য ক্রিসমাসের উপহার। এসব উপহার আগামী ১৪ বছর ধরে তাকে দেয়া যাবে। এসব উপহার দেখে উইলিয়ামস পরিবার আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। ওয়েন বলেন, আমি যখন সেগুলোকে ঘরের ভেতর নিয়ে এলাম, আমার স্ত্রী তখন তার মায়ের সঙ্গে ফেসটাইমে কথা বলছিলেন। উপহার দেখে আমার স্ত্রী কাঁদতে শুরু করলেন, আমিও কাঁদতে শুরু করলাম আর আমার শাশুড়িও কাঁদছিলেন।

আসলে এটা বর্ণনা করা খুব কঠিন। কারণ এটা ছিল একেবারেই অনাকাঙ্ক্ষিত। আমি জানি না, কতদিন ধরে তিনি এগুলো জমিয়েছেন। আমরা জানি না, তিনি কি গত দুই বছর ধরেই কিনেছেন নাকি মৃত্যুর শেষ দিনগুলোতে এগুলো কিনেছেন।

তারা একটি উপহারের প্যাকেট খুলে সেখানে একটি বই দেখতে পেয়েছেন। তবে এখনো তারা জানেন না, বাকি উপহারগুলোতে কী রয়েছে। হয়তো কিছু বই রয়েছে অথবা ক্যাডির জন্য কিছু খেলনা রয়েছে বলে জানান তারা।

টিটিএন/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।