ইসলামকে নিশ্চিহ্ন করতে চায় ইসরায়েল : এরদোয়ান

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২:২৯ পিএম, ১৫ ডিসেম্বর ২০১৮

জেরুজালেমে অবস্থিত ইসলামিক ঐতিহ্য গত ৫০ বছর ধরে পরিকল্পিতভাবে নিশ্চিহ্ন করার চেষ্টা করছে ইসরায়েলে। গতকাল শুক্রবার তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান ইসরায়েলের বিরুদ্ধে এই অভেযোগ তুলেছেন।

তুরস্কভিত্তিক সংবাদসংস্থা আনাদোলুর এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। শুক্রবার তুরস্কের ইস্তাম্বুলে জেরুজালেম ইস্যুতে ইন্টার-পার্লামেন্টারি এক আলোচনায় এরদোয়ান বলেন, ‘তোমরা (ইসরায়েল) ইসলামকে নিশ্চিহ্ন করার এই কাজে কখনোই সফল হতে পারবে না।’

তিনি ইসরায়েলকে উদ্দেশ্য করে আরও বলেন, ‘কিছু দূতাবাস আর কনস্যুলেট স্থানান্তর করে যদি তোমরা ভাবো যে জেরুজালেমের ধর্মীয় পরিচয় মুছে ফেলতে পারবে তাহলে তোমরা নিজেদের সঙ্গেই প্রতারণা করছো।’

এরদোয়ান বলেন, ইসরায়েলের কর্তৃত্ববাদী এমন সংঘাত পরিস্থিতি নিয়ে সমালোচনা করা মানে ইহুদিবিদ্বেষ নয়। তিনি বলেন, ‘কিছু ইউরোপীয়ান দেশ যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ নিয়েছে। তারা ফিলিস্তিনি অসহায় মানুষের ওপর কর্তৃত্ববাদী আক্রমণ চালিয়ে ইসরায়েল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের মতো পরিস্থিতি তৈরি করলেও তারা এ নিয়ে একটা শব্দও উচ্চারণ করছে না।’

গত বছরের ৬ ডিসেম্বর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতির ঘোষণা দিয়ে বিশ্বজুড়ে সমালোচনার মুখে পড়েন। এরপর থেকেই অধ্যূষিত ফিলিস্তিন অঞ্চলে উদ্বেগ ও সংঘাতের পরিমাণ বাড়তে তাকে। চলমান উদ্বেগেরে মধ্যেই চলতি বছরের মে মাসে মার্কিন দূতাবাস তেল আবিব থেকে জেরুজালেমে স্থানান্তর করে যুক্তরাষ্ট্র।

ইসরায়েল ফিলিস্তিন দ্বন্দ্বের অন্যতম প্রধান ইস্যু জেরুজালেম। ফিলিস্তিনিরা আশাবাদী যে, বর্তমানে ইসরায়েলের দখলে থাকা পূর্ব জেরুজালেম ভবিষ্যতে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের রাজধানী হবে। জেরুজালেমের সম্মান ও মানবিকতা এবং ইসরায়েলি দখলদারদের বিরুদ্ধে মুসলিম সম্প্রদায়ের মর্যাদাকে সমুন্নত রাখতে যেসব ফিলিস্তিনি যোদ্ধা কাজ করে যাচ্ছেন তাদেরকে ধন্যবাদ জানান প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান।

এসএ/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।