ভারতের প্রথম অ্যাঙ্করবিহীন চ্যানেল জি হিন্দুস্তান

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৮:৫৭ পিএম, ১৩ ডিসেম্বর ২০১৮

টেলিভিশন সাংবাদিকতায় যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত নিলো ভারতের জনপ্রিয় হিন্দি খবরের চ্যানেল জি হিন্দুস্তান। দেশটিতে প্রথম অ্যাঙ্করবিহীন চ্যানেল হিসেবে বৃহস্পতিবার নতুন রূপে যাত্রা করলো জি মিডিয়া করপোরেশনের এই টেলিভিশন চ্যানেল।

এখন থেকে এই চ্যানেলে দেখা যাবে না কোনো অ্যাঙ্কর। চ্যানেলের নবযাত্রার উদ্বোধন করে রাজ্যসভার সাংসদ ড. সুভাষ চন্দ্র বলেছেন, জি গোষ্ঠীর ১৩টি খবরের চ্যানেল রয়েছে। তাই আমরা এমন একটি চ্যানেলের কথা ভেবেছি; যেখানে শুধুই খবর দেখা যাবে। এই চ্যানেলে 'অখণ্ড দেশ, একটানা খবর' থিমের ওপর কাজ করবে। তার কথায়, এই পথ ধরে ভারতের বৈচিত্র্যময় ঐক্যকে আরো নিবিড় বুননে বাঁধবে জি হিন্দুস্তান।

ভারতীয় টেলিভিশন সাংবাদিকতা জগতে যুগান্তকারী এই ঘোষণা দিয়ে ড. চন্দ্র বলেন, এখন খবরের চ্যানেল খুললেই অ্যাঙ্করের দেখা মেলে। কখনো প্রণয় রায়, কখনো বিনোদ দুয়া, রজত শর্মা ও সুধীর চৌধুরীকে আমরা টিভিতে দেখতে পাই। অ্যাঙ্কর যতই নিরপেক্ষ হোন না কেন; তার ব্যক্তিগত বিশ্বাস সংবাদ পরিবেশনে প্রভাব ফেলে। সেজন্যই সংবাদ পরিবেশনে অ্যাঙ্করের ভূমিকায় দাড়ি টানার সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা।

আরও পড়ুন : আম্বানি কন্যার বিয়ের ছবি

সুভাষ চন্দ্র বলেন, এখন ক্যামেরা শুধু খবর দেখাবে। ক্যামেরা যে মিথ্যা কথা বলে না তা দর্শকরা জানেন। তাই অ্যাঙ্করের কণ্ঠের আর কোনো প্রয়োজন নেই। দর্শকের তথ্য জানার অধিকার পূরণ করবে জি হিন্দুস্তান।

তিনি বলেন, এতদিন ধরে ইংরাজি বলা বুদ্ধিজীবীরা দেশ চালাচ্ছেন। তারা ভুলে যান, ভারতের বয়স মাত্র ৭২ বছর। যেখানে ভারতের ইতিহাস ৬ হাজার বছরের পুরনো। ভারতের একটি স্বর্ণালী অতীত রয়েছে। কিন্তু বইয়ে সেসব জায়গা পায় না। জি হিন্দুস্তান ভারতের ইতিহাসের সেই সোনালি পাতাগুলো উল্টাবে, যাতে বর্তমান প্রজন্ম নিজের দেশকে নিয়ে গর্বিত হয়। স্বর্ণালী সেই ইতিহাস থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়েছে এই প্রজন্ম।

ড. সুভাষ চন্দ্র বলেন, জি হিন্দুস্তান বর্তমান প্রজন্মের সঙ্গে গৌরবময় অতীতের সেতুবন্ধ তৈরি করবে। জি হিন্দুস্তান দেখলে তাদের মনে হবে, ভারতও বিশ্বসেরা হতে পারে।

আরও পড়ুন : চুরি করতে গিয়ে রেস্তোরাঁর চিমনিতে ২ দিন আটকা চোর!

'এক সুতোয় বাঁধা হিন্দুস্তান' ও 'আর অ্যাঙ্কর নয়, খবর কথা বলবে' বাক্য মেনে চালিত এই খবরের চ্যানেল থেকে অনেক অজানা কাহিনী জানতে পারবেন দর্শক। সংবাদ বুলেটিনের দৈর্ঘ্য আধ ঘণ্টার জায়গায় ১০ মিনিট করা হয়েছে। ড. সুভাষ চন্দ্র জানিয়েছেন, এই চ্যানেলে খবর পরিবেশন হবে পুরো ভারতের প্রেক্ষিতে। কোনও রাজ্যকে বঞ্চিত করবে না জি হিন্দুস্তান।

এর আগে জি হিন্দুস্তানকে শুভেচ্ছা জানান জি মিডিয়া গোষ্ঠীর ম্যানেজিং ডিরেক্টর অশোক ভেঙ্কটরমানি। তিনি বলেন, বিভিন্ন খবরের চ্যানেলে এখন খবরের চেয়ে বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে মতামত। তবে দর্শকরা মতামত নয়, খবর চান। খবর দেখে দর্শকরা নিজেরাই নিজেদের মতামত তৈরি করবেন। তাদের ওপর কোনও দৃষ্টিকোণ চাপিয়ে দেয়ার দরকার নেই। জিনিউজ।

এসআইএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।