ধর্মীয় স্বাধীনতা লঙ্ঘন, যুক্তরাষ্ট্রের ব্লাকলিস্টে পাকিস্তান-সৌদি
ধর্মীয় স্বাধীনতা লঙ্ঘনের দায়ে অভিযুক্ত করে পাকিস্তান, সৌদি আরব ও চীনসহ ১২ টি দেশকে কালো তালিকাভুক্ত করলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। অন্য দেশগুলো হলো- ইরান, উত্তর কোরিয়া, সুদান, তাজিকিস্তান, তুর্কমেনিস্তান, উজবেকিস্তান, মিয়ানমার, কমোরোস ও ইরিত্রিয়া।
মঙ্গলবার মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও এক বিবৃতিতে এই তালিকা প্রকাশ করেন।
বিবৃতিতে পম্পেও দাবি করেন, এসব দেশে পদ্ধতিগতভাবে ধর্মীয় স্বাধীনতা লঙ্ঘিত হচ্ছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ধর্মীয় স্বাধীনতার সুযোগ উন্মোচন করা প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্য।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি সম্পর্কে রিপোর্ট তৈরি করতে গিয়ে ভুল পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়েছে এবং অতিরঞ্জিত করা হয়েছে বলে তালিকায় থাকা দেশগুলো দাবি করেছে। পাকিস্তানের তরফে বিবৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, এই তালিকা সম্পূর্ণভাবে পক্ষপাতদুষ্ট।
যদিও ওই রিপোর্টে পরে উল্লেখ করা হয়েছে যে পাকিস্তানে একাধিক ধর্মের মানুষ একসঙ্গে বাস করেন এবং পাকিস্তানের সংবিধানে সংখ্যালঘুদের অধিকার দেয়ার কথা বলা আছে।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এমন সময় আরও কিছু দেশের সঙ্গে ইরানকেও ধর্মীয় স্বাধীনতা লঙ্ঘনের দায়ে অভিযুক্ত করলেন যখন ইরানের ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা মুসলমানদের মতো সমান ধর্মীয় স্বাধীনতা ও নাগরিক অধিকার ভোগ করছেন। সেইসঙ্গে ইরানের পার্লামেন্টে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের জন্য আসন সংরক্ষিত রয়েছে।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি সম্পর্কে রিপোর্ট তৈরি করতে গিয়ে ভুল পদ্ধতি অনুসরণ, দ্বৈত নীতি গ্রহণ, নিরপেক্ষতা লঙ্ঘন ও ক্ষেত্রবিশেষ অতিরঞ্জন, আদিবাসী জনগোষ্ঠীর সংস্কৃতি উপেক্ষা ইত্যাদি কারণে আমেরিকা ভুলে ভরা প্রতিবেদন তৈরি করে বলে বিশ্লেষকরা মনে করেন।
এ ছাড়া, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এমন সময় অন্যান্য দেশের ধর্মীয় স্বাধীনতা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন যখন খোদ আমেরিকায় মুসলমানসহ অন্যান্য ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের অধিকার পদদলিত হওয়ার বহু উদাহরণ রয়েছে।
জেডএ/আরআইপি