ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার দাবি ইরানের
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে টানাপড়েন ও নিষেধাজ্ঞার মাঝেই একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালানোর দাবি করেছে ইরান। মঙ্গলবার দেশটির বিপ্লবী গার্ডের জ্যেষ্ঠ এক কমান্ডার এ দাবি করলেও কী ধরনের ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালানো হয়েছে সে ব্যাপারে নির্দিষ্ট করে কোনো তথ্য দেননি।
ইরানি বার্তাসংস্থা ফার্স নিউজ অ্যাজেন্সির বরাত দিয়ে রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। চলতি মাসের শুরুর দিকে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রী মাইক পম্পেও বলেন, ইরান মাঝারি মাত্রার একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে। এই ক্ষেপণাস্ত্র একাধিক ওয়ারহেড বহনে সক্ষম।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এই দাবির কয়েকদিন পর ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তা ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার তথ্য স্বীকার করলেন। পম্পেও ওই সময় বলেছিলেন, ইরান যে ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে; সেটি মধ্যপ্রাচ্য এবং ইউরোপের যেকোনো জায়গায় আঘাত হানতে সক্ষম।
আরও পড়ুন : গদি হারাচ্ছেন মোদি?
২০১৫ সালে ইরানের সঙ্গে ছয় বিশ্বশক্তির সাক্ষরিত পারমাণবিক চুক্তি থেকে চলতি বছরের মে মাসে বেরিয়ে যায় যুক্তরাষ্ট্র। তেহরানের বিরুদ্ধে গোপনে পারমাণবিক কর্মসূচি চালানোর অভিযোগ করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। একই সঙ্গে চুক্তি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর ইরানের বিরুদ্ধে ফের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন তিনি।
ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, এই চুক্তি ত্রুটিপূর্ণ। কারণ এতে ইরানের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি অথবা সিরিয়া, ইয়েমেন, লেবানন ও ইরাকে প্রক্সি যুদ্ধের লাগাম টানার কোনো শর্ত নেই। ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর প্রধান আমির আলী হাজিজাদেহ বলেন, আমরা ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা অব্যাহত রাখবো এবং সাম্প্রতিক এই পরীক্ষা ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
চলতি বছরে ইরান অর্ধশতাধিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে বলে জানিয়েছেন হাজিজাদেহ। ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি এবং সামরিক সক্ষমতার ব্যাপারে ওয়াশিংটনের সঙ্গে কোনো ধরনের আলোচনায় বসা হবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে ইরান।
সূত্র : রয়টার্স।
এসআইএস/এমকেএইচ