বিশ্বজুড়ে সড়কে প্রাণহানি বেড়েছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০১:০০ পিএম, ১১ ডিসেম্বর ২০১৮

গত তিন বছরে সারা বিশ্বে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়েছে। এ সময় সড়কে প্রাণহানির সংখ্যা ১ লাখ থেকে বেড়ে সাড়ে ১৩ লাখে পৌঁছেছে। অর্থাৎ প্রতি ২৪ সেকেন্ডে গড়ে একজন সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারাচ্ছেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডাব্লিউএইচও) সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হচ্ছে।

ডাব্লিউএইচও জানিয়েছে, বিশ্বের সব মৃত্যুর এক চতুর্থাংশই ঘটে সড়ক দুর্ঘটনায়। মূলত পথচারী এবং সাইকেলআরোহীরাই বেশি সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হন।

সড়কে প্রাণহানি বৃদ্ধি পাওয়াকে ‘খুবই দুঃখজনক এবং অগ্রহণযোগ্য’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন সংস্থার মহাপরিচালক টেড্রোস আডহানোম গিব্রেইয়াসেস।

জেনেভায় ডাব্লিউএইচওয়ের প্রধান কার্যালয়ে তিনি আরও বলেন, ‘জীবনকে গতিশীল রাখার জন্য এই মূল্য অনেক বড়। এর পক্ষে কোনো অজুহাত নেই, চেষ্টা করলেই এই সমস্যার সমাধান হতে পারে, যা এরই মধ্যে প্রমাণিত।’

accident

সংস্থাটির তথ্য মতে, সামগ্রিকভাবে বিশ্বব্যাপী জনসংখ্যা এবং গাড়ির ব্যবহার বাড়লেও উচ্চ এবং মধ্যম আয়ের দেশগুলিতে সড়ক নিরাপত্তার কিছুটা উন্নতি হয়েছে। এসব দেশে মৃত্যুহার স্থিতিশীল রয়েছে।

দুর্ঘটনা এড়াতে নিজ নিজ দেশের সরকারকে আরও উদ্যোগী হবার আহ্বান জানিয়ে ডাব্লিউএইচও মহাপরিচালক রাস্তায় নিরাপত্তা বাড়ানোর জন্য কিছু সতর্কতামূলক ব্যবস্থা অবলম্বনের কথা বলেছেন। যার মধ্যে গাড়ি চালানোর সময় অ্যালকোহল পান না করা, সিটবেল্ট বাঁধা, মোটরসাইকেল চালকেদের হেলমেট পরার মতো বিষয়ও রয়েছে। সেই সঙ্গে রাস্তায় চলাচলের সময় বিভিন্ন ঝুঁকি সম্পর্কে আরও সতর্ক হওয়ার আহ্বানও জানিয়েছে সংস্থাটি।

ডাব্লিউএইচও জানিয়েছে বাংলাদেশে গড়ে প্রতিদিন ২০ থেকে ২২ জন মানুষ সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হন। এর বাইরেও হয়ত অনেক দুর্ঘটনাই ঘটে যেগুলো হিসেবে আসে না।

আর ভারতের অবস্থা আরও ভয়াবহ। সেখানে প্রতিদিন গড়ে ৪শ’ জন সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হন। এসব দুর্ঘটনার প্রধান কারণ মাত্রারিক্ত গতিতে গাড়ি চালানো, হেলমেট না পরা, সিটবেল্ট না বাঁধা ইত্যাদি। বিশ্বের বেশিরভাগ দেশেই এমন প্রবণতা দেখা যায়। সূত্র : ডয়েচে ভেলে

এমএমজেড/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।