রহস্যের জট কিছুটা খুলল ভয়াল সেই সুনামির

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১:২৩ এএম, ১১ ডিসেম্বর ২০১৮

গত সেপ্টেম্বরে ইন্দোনেশিয়ার পালুতে ৭.৮ মাত্রার ভূমিকম্পের পর ভয়াবহ যে সুনামিটি আঘাত হানে তার প্রকৃতি বোঝার পথে আরও খানিকটা এগিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। সুনামির পর বিজ্ঞানীরা বেশ অবাক হয়েছিলেন কারণ ওই মাত্রার ভূমিকম্পের পর এতবড় সুনামি যে হতে পারে সেটা অনুমান করতে পারেন নি তারা।

দেশটির সুলাওয়েসি দ্বীপের উপকূলবর্তী একটি জরিপের মাধ্যমে তারা দেখতে পেয়েছেন, সমুদ্র তলদেশের গভীরতা উল্লেখযোগ্যভাবে হঠাৎ করে অনেকটা নীচে চলে গেছে। যার কারণে সমুদ্রের পানির আকস্মিকভাবে স্থানচ্যুতি হয়। যা পরবর্তীতে উপকূলে আঘাত হেনে বিপর্যস্ত করে ফেলে।

ইন্দোনেশিয়ার মর্মান্তিক সেই সুনামির কবলে পড়ে প্রাণ হারিয়েছেন দুই সহস্রাধিক মানুষ। ঘটনার পর প্রাথমিকভাবে এই সুনামি নিয়ে বেশ কিছু অনুসন্ধান শুরু হয়। সম্প্রতি পৃথিবী ও মহাকাশ বিজ্ঞানীদের বৃহত্তম বার্ষিক সমাবেশের একটি সভায় এ সংক্রান্ত তদন্তগুলোর প্রাথমিক ফলাফলের প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়।

সাধারণভাবে যে অবস্থা ছিল বা ভূমিকম্পের যে গঠন তার সঙ্গে এতবড় সুনামি হওয়ার কোনো সম্ভাবনা ছিল না। যে ভূমিকম্পটি হয়েছিল তাকে বলা হচ্ছে আকস্মিক পতন। কিন্তু সুনামির প্রধান দুটি ঢেউ তরঙ্গ পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে। এর মধ্যে দ্বিতীয়টি ছিল সবচেয়ে বড়। যা উপকূল থেকে ৪০০ মাইল দূরে পর্যন্ত আছড়ে পড়ে।

 

Science-2

ইন্দোনেশিয়ান অ্যাজেন্সি ফর অ্যাসেসমেন্ট এন্ড অ্যাপ্লিকেশন অব টেকনোলোজির (বিপিপিটি) উদরেখ আল হানিফ জাকার্তায় অনুষ্ঠিত ওই সম্মেলনে বলেন, সুনামিটির উৎপত্তিস্থল ছিল শহরের খুব কাছেই কারণ ভূমিকম্প ও হঠাৎ করে পানির উচ্চতা বৃদ্ধির মধ্যে সময়ের পার্থক্য ছিল মাত্র তিন মিনিটেরও কম।

ইন্দোনেশিয়ার ওই বিজ্ঞানী বলছেন, এই দুটির সমন্বিত এরকম দ্রুত উত্থানের কারণেই অল্প সময়ের মধ্যেই একটা সুনামির উৎপত্তি হয়।

তিনি বলেন, ‘আমরা যখন ওই ঘটনার আগের ও পরের সমুদ্রপৃষ্ঠে পানির উচ্চতা সংক্রান্ত তথ্য বিশ্লেষণ করি তখন দেখতে পাই সমুদ্র তলদেশের প্রায় সব অংশ হঠাৎ করেই অনেকটা নীচে চলে গেছে। এছাড়া সেই তথ্য থেকে আমরা সুনামির গতিবিধিও পর্যবেক্ষণ করি। স্পষ্টতই একটা উল্লম্ব ও অনুভূমিক স্থানচ্যুতি আমাদের নজরে আসে।’

সুনামির গতিবিধি ও উৎপত্তি সংক্রান্ত এই আচরণ সুনামির আকার নিয়ে প্রশ্ন তোলার যথেষ্ট ব্যখ্যা তৈরি করে। ইনোদনেশিয়ার বিজ্ঞানীদের দেয়া ওই তথ্যগুলোতে পানির নিচে ভূমির পরিবর্তনের বিভিন্ন প্রমাণ রয়েছে। এটাই হতে পারে অস্বাভাবিক এই সুনামটির একটা গুরুত্বপূণ ফ্যাক্ট।

এসএ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।