ওপেক ছাড়ার কারণ জানাল কাতার
বিশ্বের শীর্ষ তেল রফতানিকারক দেশগুলোর সংগঠন ওপেক থেকে কাতারের বেরিয়ে যাওয়ার পেছনে সংযুক্ত আরব আমিরাত রাজনৈতিক উদ্দেশ্য রয়েছে বলে দাবি করলেও দোহা বলছে ভিন্ন কথা। কাতারের জ্বালানিবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী সাদ আল-কাবি বলেছেন, রাজনৈতিক কারণে তার দেশ ওপেক থেকে বেরিয়ে যাচ্ছে না।
গত বুধবার ওপেকের ১৭৫তম বৈঠকে যোগ দিতে অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনা পৌঁছে তিনি এ মন্তব্য করেন। কাতারের এই মন্ত্রী বলেন, কাতার ওপেকে নিজের উপস্থিতির উপকারি ও ক্ষতিকর দিকগুলো বিবেচনা করে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। একটি গ্যাসসমৃদ্ধ দেশ এবং গ্যাস রফতানিতে মনযোগ কেন্দ্রীভূত করাই দোহার জন্য বেশি লাভজনক।
আগামী বছরের জানুয়ারিতে ওপেক থেকে বেরিয়ে দেশের গ্যাস উৎপাদন ও রফতানিতে মনযোগ দেয়া হবে বলে গত ৩ ডিসেম্বর ঘোষণা দেয় কাতার। দোহা ওপেকের তেল উৎপাদনকারী ক্ষুদে দেশ হলেও বিশ্বের সর্বোচ্চ তরল প্রাকৃতিক গ্যাসের (এলএনজি) রফতানিকারক।
কাতারের জ্বালানিবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বলেন, ওপেকের সদস্য থেকে কাতারের তেমন কোনো লাভ নেই অথচ গ্যাসখাতে তার দেশের সামনে সাফল্যের অনেক বড় দুয়ার খোলা রয়েছে। কাতার দৈনিক মাত্র ছয় লাখ ব্যারেল তেল উত্তোলন করে; যা বন্ধ হয়ে গেলেও ওপেকের কোনো ক্ষতি হবে না।
সাদ আল কাবি বলেছেন, আগামী জানুয়ারিতে ওপেক ছাড়বে কাতার। এরপর তারা ওপেকের সঙ্গে কোনো ধরনের চুক্তিতে পৌঁছাবে না। কাতারের জ্বালানীমন্ত্রী এই দাবি করলেও ভিয়েনায় ইরানের তেলমন্ত্রী বিজান জাঙ্গানে বলেছেন, কাতার কেন ওপেক থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিল তা খতিয়ে দেখতে হবে।
আরও পড়ুন : হুয়াওয়ের নির্বাহী কর্মকর্তা কানাডায় গ্রেফতার
এদিকে, বিশ্বের শীর্ষ তেল রফতানিকারক দেশগুলোর এই সংগঠন থেকে কাতার বেরিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেয়ার একদিন পর মঙ্গলবার সৌদি বাদশাহ উপসাগরীয় সহযোগিতা পরিষদের (জিসিসি) আসন্ন রিয়াদ সম্মেলনে কাতারের আমিরকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। তবে ওই সম্মেলনে কাতারের আমির যাবেন কি-না সেব্যাপারে এখন পর্যন্ত কোনো তথ্য জানায়নি দোহা।
এসআইএস/এমকেএইচ