রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমারের ওপর চাপ বাড়াবে যুক্তরাষ্ট্র
এক বছরেরও বেশি সময় আগে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর বর্বর অভিযান থেকে প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছেন সাত লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা মুসলিম। নিজেদের বাড়ি-ঘর ছেড়ে কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দিন কাটাচ্ছেন তারা।
কয়েক লাখ রোহিঙ্গার থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করতে গিয়ে হিমসিম খাচ্ছে বাংলাদেশ। গতি হারাচ্ছে দেশের অভ্যন্তরীণ উন্নয়ন। নষ্ট হচ্ছে পরিবেশও। ফলে, উদ্ভূত এই পরিস্থিতি মোকাবেলায় এবার এগিয়ে এলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত নতুন মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলার। মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের বাড়ি-ঘর ফিরিয়ে দিতে এবং সেখানে নিরাপদ পরিবেশ সৃষ্টি করতে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলেন এই মার্কিন রাষ্ট্রদূত।
রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধান প্রসঙ্গে রবার্ট মিলার বলেন, রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ফিরে যাওয়ার মতো সুষ্ঠু পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে মিয়ানমারকেই। আর তাদের দেশে প্রত্যাবর্তন অবশ্যই স্বেচ্ছায় হওয়া উচিত। এছাড়া নিরাপদভাবে ও স্বেচ্ছায় দেশে ফিরে যাওয়ার জন্য রোহিঙ্গাদের উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি করতে যুক্তরাষ্ট্র আন্তর্জাতিক মহলে মিয়ানমারের ওপর চাপ বাড়াবে বলেও ইঙ্গিত দেন তিনি।
কক্সবাজারের উখিয়ায় নতুন রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এই মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিতে গিয়ে কক্সবাজারের পরিবেশের যে ক্ষতি হয়েছে, তা অপূরণীয়। কীভাবে এ ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়া যায় এবং পরিবেশ ফিরিয়ে আনা যায় এ ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্র সরকার সহায়তা করবে।
শুধুমাত্র রোহিঙ্গাদের জন্য নয়, কক্সবাজারের জনগণের জন্যও যুক্তরাষ্ট্র সহায়তা অব্যাহত রাখবে বলে জানান তিনি। রোহিঙ্গা সমস্যা খতিয়ে দেখতে তিনদিনের সফরে কক্সবাজার যান মার্কিন রাষ্ট্রদূত। সেখানে রোহিঙ্গা নেতাদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।
টিটিএন/এমএস