শর্ত সাপেক্ষে জামিন পেলেন মোশাররফ
দুদকের দায়ের করা অর্থ পাচার (মানিলন্ডারিং) মামলায় শর্ত সাপেক্ষে জামিন পেয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
খন্দকার মোশাররফ হোসেনের পক্ষে করা জামিন আবেদনের শুনানি শেষে বুধবার হাইকোর্টের বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ শর্ত সাপেক্ষে তার জামিন মঞ্জুর করেন।
এদিকে হাইকোর্টের দেয়া জামিন আদেশের ফলে খন্দকার মোশাররফের মুক্তি পেতে কোন বাধা নেই বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবীরা।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী নিতাই রায় চৌধুরী । সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, মো.নাজমুল হুদা, মিথুন রায় চৌধুরী এবং মারুফ হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। দুদকের পক্ষে শুনানি করেন খুরশীদ আলম খান।
মারুফ হোসেন জানান, ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনের পাসপোর্ট আদালতে রাখা তাই বিদেশ যেতে হলে আদালতের অনুমতি নিতে হবে, লন্ডনের ওই ব্যাংকে থেকে টাকা ট্রান্সফার করা যাবে না এ শর্তে তাকে জামিন দিয়েছেন আদালত।
প্রসঙ্গত, যুক্তরাজ্যে মোট ৯ কোটি ৫৩ লাখ ৯৫ হাজার ৩৮১ টাকা পাচারের অভিযোগে গত ৬ ফেব্রুয়ারি দুদকের পরিচালক নাসিম আনোয়ার বাদী হয়ে রাজধানীর রমনা মডেল থানায় এ মামলা দায়ের করেন।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, খন্দকার মোশাররফ ২০০১ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত দুর্নীতি ও মানি লন্ডারিংয়ের মাধ্যমে যুক্তরাজ্যের `Lloyds TSB Offshore Private Bank` ব্যাংকে তার নিজের ও স্ত্রী বিলকিস আক্তারের যৌথ নামে ৮ লাখ ৪ হাজার ১৪২ ব্রিটিশ পাউন্ড পাচার করেন। যা বাংলাদেশি টাকায় ৯ কোটি ৫৩ লাখ ৯৫ হাজার ৩৮১ টাকা। এ টাকা তিনি বিভিন্ন সময় ১০৮৪৯২ নম্বরে ফিক্সট টার্ম ডিপোজিট হিসেবে জমা করেন।
দুদকের অনুসন্ধানে মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ আইন লঙ্ঘিত হওয়ায় মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন’২০০২ এর ১৩ ধারা এবং ২০০৯ ও ২০১২ এর চার ধারায় মানি লন্ডারিংয়ের মামলা দায়ের করা হয় বিএনপির হেভিওয়েট এ নেতার বিরুদ্ধে।
গত বছর ১২ মার্চ রাত সাড়ে ১০টায় খন্দকার মোশাররফকে গুলশান তার নিজ বাসা থেকে আটক করে পুলিশ। তিনি এখন কাশিমপুর কারাগারে পার্ট-১ এ কারাবন্দী আছেন।
এফএইচ/এসকেডি/আরআইপি