হোটেলে খাসি বলে দেয়া হয় কুকুর বিড়ালের মাংস

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৫:৫৪ পিএম, ২৭ নভেম্বর ২০১৮

চারদিক থেকে ঘেরা ছোট একটি জায়গা। দেখতে ঘরের মতোই। বেশ কয়েকদিন ধরে সেখানে আসা-যাওয়া করেন কয়েকজন অচেনা ব্যক্তি। সন্ধ্যা নামলেই বাড়ে তাদের আনাগোনা। এর পাশেই রয়েছে কয়েকটি ঘর। গাড়ি নিয়ে সেখানে ঢুকে পড়ে একদল লোক। ভেতরে যাওয়ার পর তালা লাগিয়ে দেয়া হয় প্রবেশ দরজায়। এতে সন্দেহ আরো বেড়ে যায়।

গেটে তালা থাকায় স্থানীয়রা ওই আবদ্ধ জায়গায় ঢুকতে পারেননি। কিন্তু গত ২-৩ দিন ধরে ওই ঘেরা জায়গার ভেতর থেকে উৎকট দুর্গন্ধ আসছিল। কিন্তু কেন এত দুর্গন্ধ, তা সরেজমিনে দেখতেই সোমবার সন্ধ্যায় স্থানীয়রা প্রাচীর টপকে ভেতরে ঢোকেন।

ভারতীয় একটি গণমাধ্যম বলছে, সেখানে গিয়ে তারা যা দেখতে পান তাতে অনেকের চক্ষু চড়কগাছ হওয়ার দশা। লোকচক্ষুর আড়ালে কাটা হচ্ছে কয়েক সপ্তাহ আগের মরাগলা বিড়াল-কুকুর। এই খবর জানাজানি হতেই এলাকায় বিক্ষোভ শুরু হয়। একটি গাড়ি আটক করে ভাঙচুর চালায় স্থানীয় জনতা।

আরও পড়ুন : পাকিস্তানে হাসপাতালে অপারেশনের সময় নারীকে ধর্ষণ

কিন্তু অন্ধকারের কারণে চার-পাঁচজন সেখান থেকে পালিয়ে যায়। তবে গ্রামবাসীদের হাতে ধরা পড়ে এক পাচারকারী। আটক ব্যক্তি বলেছেন, কলকাতার মধ্যমগ্রামের বিভিন্ন হোটেলে, যশোর রোডের দু’ধারের একাধিক রেস্তোরাঁয় কুকুর-বিড়ালের মাংস সরবরাহ করেন তারা।

ওই ব্যক্তি আরো বলেন, কুকুর-বিড়ালের মাংসকে খাসির মাংস বলে বিভিন্ন হোটেল, রেস্তোরাঁতে দেয়া হতো। এই চক্রের অন্যান্য সদস্যদের বাড়ি কলকাতার দেগঙ্গার বিভিন্ন এলাকায়।

উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে দেশটির চেন্নাই প্রদেশের এগমোর রেলওয়ে প্ল্যাটফর্ম থেকে ১১০০ কেজি কুকুরের মাংস উদ্ধার করা হয়। এসব মাংস প্রদেশের বিভিন্ন হোটেলে সরবরাহ করা হতো বলে জানিয়েছে পুলিশ।

এসআইএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।