ট্রাম্পকে শিক্ষা দিলেন ভারতীয় তরুণী
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে প্রকৃতির পাঠ দিলেন ভারতীয় তরুণী আস্থা শর্মা। ৭২ বছরের ডোনাল্ড ট্রাম্পকে আবহাওয়া ও জলবায়ুর পার্থক্য বুঝিয়ে দিয়েছেন ভারতের আসামের ১৮ বছরের এ মেয়ে। সেই সঙ্গে বদলে দিয়েছে তার পরিচয়, রাতারাতি বেড়েছে তার আন্তর্জাতিক খ্যাতিও।
গত বুধবার ওয়াশিংটনের তাপমাত্রা শূন্যের চেয়ে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস নীচে নেমেছিল। তখন ট্রাম্প টুইট করেন, ‘হিংস্র ও দীর্ঘায়িত শীত সব রেকর্ড ভেঙে দিতে পারে। কোথায় গেল বিশ্ব উষ্ণায়ন!’
কিছুক্ষণের মধ্যেই ট্রাম্পের ওই টুইট লক্ষাধিক বার রি-টুইট হয়। যার বেশির ভাগটাই ট্রাম্পের জ্ঞানের বহর নিয়ে ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ। কারণ, আবহাওয়ার রেকর্ড বলছে, ১৮৮০ সালে ওয়াশিংটনের তাপমাত্রা নেমেছিল শূন্যের চেয়ে ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস নীচে।
বারাক ও মিশেল ওবামার ভক্ত যোরহাটের ১৮ বছরের ছাত্রী আস্থাও ট্রাম্পের টুইটের জবাবে দেন। লেখেন, ‘আমি আপনার থেকে ৫৪ বছরের ছোট। মোটামুটি নম্বর পেয়ে সবে হাইস্কুলের পরীক্ষায় পাস করেছি। কিন্তু আমিও আপনার জ্ঞাতার্থে জানাতে পারি, কাকে বলে আবহাওয়া আর কাকে বলে জলবায়ু। চাইলে আপনার বোঝার সুবিধার জন্য আমার এনসাইক্লোপিডিয়া বইটি আপনাকে ধার দিতে পারি। ওটা দ্বিতীয় শ্রেণি থেকে আমার কাছে আছে। বইটায় ছবি ও তথ্য দিয়ে সব ভালো করে বোঝানো আছে।’
সঙ্গে সঙ্গে ‘হিট’ হয়ে যায় আস্থার টুইট। পরে আস্থা আবারও লেখেন, “আমার মনে হয় প্রেসিডেন্ট বোঝাতে চেয়েছেন, এই ‘আর্কটিক কোল্ড ব্লাস্ট’ বিশ্ব উষ্ণায়নের তত্ত্বকে ভুল প্রমাণ করে। কিন্তু আমার মতে, একবার ‘আর্কটিক কোল্ড ব্লাস্ট’ হওয়া মানেই বিশ্ব উষ্ণায়ন মিথ্যে হয়ে যায় না। আমি ভুল হতে পারি। কিন্তু নিজের মতটা জানালাম মাত্র।”
মেয়ের এমন সাহস মনে ধরেছে নেটিজেনদের। কেউ আবার আস্থার উদ্দেশে টুইট করে বুঝিয়েছেন, ‘এত বিনয়ী হওয়ার প্রয়োজন নেই। এটা প্রমাণিত বৈজ্ঞানিক সত্য। আবহাওয়া মানে বিশেষ কোনো দিনের তাপমাত্রা, জলীয় বাষ্প, বায়ুচাপ ইত্যাদি। আর জলবায়ু হল দীর্ঘ দিনের আবহাওয়া পরিস্থিতির গড় ও সামগ্রিক চিত্র। বিশ্বের জলবায়ু বদলেরই একটি দীর্ঘকালীন লক্ষণ হলো বিশ্ব উষ্ণায়ন।
আরএস/জেআইএম