মেয়ে ইভাঙ্কাকে নিয়ে বিপদে ট্রাম্প
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কন্যা ইভাঙ্কা ট্রাম্প তার ব্যক্তিগত ই-মেইল অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে হোয়াইট হাউসে কয়েকশ বার্তা পাঠিয়ে বিপদে পড়েছেন। মার্কিন কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে বিবিসির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, গত বছর হোয়াইট হাউসের কাছে এ বার্তাগুলো পাঠিয়েছিলেন ইভাঙ্কা ট্রাম্প।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, হোয়াইট হাউসের এক পর্যালোচনায় দেখা গেছে সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগের ক্ষেত্রে ইভাঙ্কা তার ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করেছিলেন। ইভাঙ্কার আইনজীবীরা অবশ্য বলছেন, ইভাঙ্কা যখন এই ই-মেইলগুলো করেন তখন তিনি এ-সংক্রান্ত নিয়ম-কানুন সম্পর্কে অবহিত ছিলেন না।
২০১৬ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হিলারি ক্লিনটনের বিরুদ্ধে ই-মেইল কেলেঙ্কারি অভিযোগ এনেছিলেন ট্রাম্প। সে সময় তিনি বলেছিলেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী থাকা অবস্থায় ব্যক্তিগত ই-মেইল ব্যবহার করে রাষ্ট্রকে ঝুঁকির মুখে ঠেলে দিয়েছেন হিলারি। এবার মেয়ে ও হোয়াইট হাউসে তার উপদেষ্টা হিসেবে কর্মরত ইভাঙ্কার দাফতরিক কাজে ব্যক্তিগত ই-মেইল ব্যবহারের ঘটনায় বেশ চাপে পড়েছেন ট্রাম্প।
আরও পড়ুন>> কুয়েতে নাগরিকত্বের সুযোগ
সোমবার মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইভাঙ্কার পাঠানো বেশিরভাগ ই-মেইল ব্যক্তিগত ও যৌক্তিক কাজের প্রেক্ষিতে হলেও কোনো কোনোটি যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় নথি সংরক্ষণ আইনের লংঙ্ঘন।
ট্রাম্প প্রশাসনের এক কর্মকর্তা মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিবিএস নিউজকে বলেছেন, ‘ইভাঙ্কা তার ব্যক্তিগত ই-মেইল ব্যবহার করে যেসব বার্তা পাঠিয়েছিলেন সেগুলোর কোনোটিতেই হোয়াইট হাউসের ‘সুনির্দিষ্ট তথ্য’ ছিল না। মূলত এ সংক্রান্ত নিয়মকানুন সম্পর্কে না জানার কারণেই এমনটা করেছেন তিনি।’
আমেরিকান ওভারসাইট নামে ট্রাম্প প্রশাসনের কর্মকাণ্ডের ওপর নজর রাখা একটি প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, ‘প্রেসিডেন্টের পরিবারের লোকজন আইনের ঊর্ধ্বে নন। এটা যুক্তরাষ্ট্রের জন্য একটি গুরুতর বিষয়। মার্কিন কংগ্রেসের শিগগিরই এ ঘটনার তদন্ত করা উচিত।’
তিনি আরও প্রশ্ন তোলেন, ‘আইন অনুযায়ী যেসব ই-মেইল সংরক্ষিত রাখা দরকার ইভাঙ্কা কি সেগুলো উন্মোচন করেছেন? তিনি কি ব্যক্তিগত উদ্যোগে হোয়াইট হাউসের ‘সুনির্দিষ্ট তথ্য’ বাইরে পাঠিয়েছেন?’
এসএ/এমএস