কমতে পারে মোবাইল ফোনের কলরেট
মোবাইল ফোন কলের ওপর সম্প্রতি শতকরা এক শতাংশ সারচার্জ বৃদ্ধি হলেও এবার কমতে পারে কলরেট। ঠিক এমনই সুসংবাদ দিতে পারে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। সম্প্রতি ‘কস্ট মডেলিং’ পদ্ধতি সংস্করণের লক্ষ্যে দেশের সব মোবাইল অপারেটরদের প্রধান নির্বাহীদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন সংস্থাটির চেয়ারম্যান সুনীল কান্তি বোস। আর এ বৈঠক সূত্রেই মোবাইল ফোন কলরেট কমার সম্ভাবনার কথা জানা গেছে।
সূত্রে জানা যায়, বৈঠকে মোবাইল ফোনের কলরেট কমানোর বিষয়ে দেশের ৬ মোবাইল ফোন অপারেটরের লিখিত মতামত চেয়েছে বিটিআরসি। বৈঠকে কলরেটের বিষয়ে সবার বক্তব্য শোনার পর বিটিআরসি চেয়ারম্যান লিখিত মতামত জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন। আগামী ৩১ আগস্টের মধ্যে এ-সংক্রান্ত লিখিত মতামত জানাতে বলা হয়েছে।
তবে মোবাইল ফোন অপারেটরদের সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ভয়েস কলরেটের দিক দিয়ে বাংলাদেশে এখন বিশ্বে অন্যতম সর্বনিম্ন। কলরেট আরো কমানো হলে তা অপারেটরদের সেবার মানের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। তাই এ ক্ষেত্রে ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
এছাড়া কলরেট কমানো হলে তা সরকারের রাজস্ব আয় কমে যাওয়ার পাশাপাশি অবৈধ ভিওআইপি কলের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তারা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, নতুন প্রস্তাবে সর্বোচ্চ কলরেটের সীমা মিনিটপ্রতি ১ টাকা ৫০ পয়সা করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এক অপারেটর থেকে অন্য অপারেটরে কল করার ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন কলরেট ৪০ পয়সা করার প্রস্তাব আছে। আর ইন্টার-কানেকশন কলচার্জ ১৮ পয়সা থেকে কমিয়ে ১৩ পয়সা এবং আইসিএক্সের কলচার্জ ৪ পয়সা থেকে কমিয়ে ৩ পয়সা নির্ধারণের প্রস্তাব করা হয়েছে।
তবে সূত্রে জানা যায়, মোবাইল ফোনের কলরেট কমানো হবে কি হবে না -সে বিষয়ে এখনই কিছু বলতে পারছে না বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। সব মোবাইল ফোন অপারেটরের মতামত জেনেই কমিশন এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে।
উল্লেখ্য, বিটিআরসি কর্তৃক ২০০৮ সালে ‘কস্ট মডেলিং’ পদ্ধতিতে সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন কলরেট নির্ধারণ করা হয়। সেই নির্ধারিত কলরেট অনুযায়ী বর্তমানে দেশে মোবাইল ফোনে প্রতি মিনিট কলরেট সর্বোচ্চ প্রতি মিনিট ২ টাকা ও সর্বনিম্ন প্রতি মিনিট ২৫ পয়সা রয়েছে।
আরএস/আরআইপি