বঙ্গবন্ধু হত্যার পুনঃতদন্ত চায় বিএনপি
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যাকাণ্ডের পুনঃতদন্ত দাবি করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি। এক্ষেত্রে নিজেদের ঘর থেকে তদন্ত শুরু হওয়া উচিত বলেও মনে করছে দলটি। মঙ্গলবার বিকেলে বিএনপির আন্তর্জাতিক বিয়ষক সম্পাদক ড. আসাদুজ্জামান রিপন এ দাবি জানান।
তিনি বলেন, সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল হক মনি ও সাবেক সেনাপ্রধান কে এম শফিউল্লাহকে নিয়ে একটি টকশো প্রচারিত হয়েছে। টকশোতে ফজলুল হক মনি সাবেক এই সেনাপ্রধানকে মুজিব হত্যার সঙ্গে জড়িত বলে অভিযোগ করেছেন।
রিপন আরো বলেন, তৎকালীন প্রেসিডেন্ট শেখ মুজিবুর রহমান তলব করার পরও কেন নিশ্চুপ ছিলেন কে এম শফিউল্লাহ। পরে কেনই-বা ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে না গিয়ে মুশতাক সরকারের আনুগত্য দেখিয়েছেন। এসব বিয়ষের তদন্ত হওয়া উচিত।
একইসঙ্গে বর্তমান বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল অাহমেদ ও রক্ষী বাহিনী কেন নিশ্চুপ ছিলো সে বিষয়টি সরকারকে বিবেচনা করার দাবি জানান তিনি। এছাড়া সে সময় সংশ্লিষ্ট কাউকেই দায়ী না করে কেন জিয়াউর রহমানকেই দোষারোপ করা হচ্ছে সেই বিষয়গুলো পুনঃতদন্তের দাবি জানান বিএনপির এ নেতা।
রিপন বলেন, বিএনপির বিরুদ্ধে মনগড়া অভিযোগ করলে শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মার প্রতি সন্মান প্রদর্শন করা হবে না। সন্মান প্রদর্শন করতে হলে প্রকৃত খুনিদের ও পরিকল্পনাকারীদের চিহ্নিত করতে হবে।
বিএনপির এ নেতা মনে করেন, কোনো রাজনৈতিক শক্তি এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা ছাড়া এ রকম হত্যাকাণ্ড অসম্ভব। তৎকালীন সময়ে কারা কারা এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত ছিলো তা তদন্তে আসা উচিত।
তিনি বলেন, ১৫ আগস্টের ঘটনায় বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানকে জড়িয়ে অনেক মিডিয়া উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে সংবাদ প্রচার করেছে। যদি জিয়া বিএনপি প্রতিষ্ঠা না করতেন, বার বার ক্ষমতায় না আসতেন, জনগণের হৃদয়ের মনিকোঠায় অাস্থা অর্জন করতে না পারতেন তাহলে কেউ তাকে নিয়ে মাথা ঘামাতো না।
সংবাদ সম্মেলনে এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন- চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম আবুল খন্দকার, যুবদলের সভাপতি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান হাবিব, সহ-দফতর সম্পাদক আবদুল লতিফ জনি, আসাদুল করিম শাহীন প্রমুখ।
এমএম/এসকেডি/আরএস/এমআরআই