আজমল কাসাবকে ভারতের স্থায়ী বাসিন্দা বানালো কে?
মুম্বাই হত্যা মামলার অন্যতম আসামি পাকিস্তানি নাগরিক আজমল কাসাবের ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে ২০১২ সালে। কিন্তু এরপরও যেন ভারতে আজমল কাসবের ‘ভূত’ পিছু ছাড়ছে না। ফাঁসি কার্যকরের ছয় বছর পূর্তির কয়েকদিন আগে আবারও সামলে এসেছেন আজমল কাসাব। আজমল কাসাব ভারতের বাসিন্দা -এমন কাণ্ডে চাকরি থেকে সাসপেন্ড হয়েছেন এক তহসিলদার। শুরু হয়েছে তদন্তও।
কী হয়েছে আসলে? আনন্দবাজার পত্রিকার এক প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, মাস খানেক আগে আরারিয়া জেলার বিধুনা তহসিলে একটি বসবাসের প্রমাণপত্রের আবেদনপত্র জমা পড়ে। আবেদনকারীর নাম আজমল আমির কাসাব। বাবার নাম মহাম্মদ আমির। জন্ম বিধুনাতে। আবেদনের সঙ্গে দেওয়া হয়েছিল আজমল কাসাবের ছবিও। সঙ্গে নথিপত্র। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয়, সেই আবেদনপত্রের পর গত ২১ অক্টোবর বসবাসের
শংসাপত্র (সার্টিফিকেট) দিয়ে দিয়েছেন তহসিলদার।
বিষয়টি নজরে আসতেই প্রশাসনের কর্তারা নড়েচড়ে বসেন। ছুটে যান আবেদনপত্রে দেয়া ঠিকানায়। কিন্তু সেখানে গিয়ে ওই নামে (আজমল আমির কাসভ) কাইকে পাওয়া যায়নি। কে ওই আবেদনপত্র জমা দিয়েছেন, তারও কোনো খোঁজ মেলেনি। জানা যায়, যাচাই-বাছাই না করে সার্টিফিকেট দিয়েছেন ওই তহসিলদার। পরে ওই তহসিলদারকে সাসপেন্ড করে ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দেয় জেলা প্রশাসন।
বিধুনার মহকুমা শাসক প্রভেন্দ্র কুমার সার্টিফিকেট দেওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, ‘ঘটনা সামনে আসতেই আমরা বিভাগীয় তদন্ত শুরু করেছি। গ্রামে গিয়ে খোঁজ নিয়ে যখন বোঝা যায় পুরোটাই ভুয়া, তখন জাতীয় তথ্যকেন্দ্রে বিষয়টি জানিয়ে ওই সার্টিফিকেট বাতিল করার আর্জি জানানো হয়। সেই মতে এনআইসি সেটি বাতিল করে দিয়েছে।’
২০০৮ সালের ১১ নভেম্বর মুম্বাইয়ে জঙ্গি হানায় ১০ জঙ্গির মধ্যে একমাত্র কাসাবই জীবিত ধরা পড়ে। বাকিদের মৃত্যু হয় পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে। দীর্ঘ বিচারপ্রক্রিয়া শেষে ২০১২ সালের ২১ নভেম্বর পুণের ইয়েরওয়াড়া জেলে কাসাভের ফাঁসি কার্যকর করা হয়।
এদিকে ফাঁসি কার্যকরের ছয় বছর পূর্তির মাত্র কয়েকদিন আগে এমন ঘটলো। প্রশাসনিক কর্তাদের ধারণা, এমন সময়ে কেউ একজন মজা করেই এমন কাণ্ড ঘটিয়েছেন। তবে এত বড় ‘মস্করা’ কে করছে, তাকেও খোঁজা হচ্ছে।
আরএস/জেআইএম