শিল্পবর্জ্য এখন মূল্যবান সম্পদ : আমু
শিল্পবর্জ্যকে এক সময় মূল্যহীন ভাবা হলেও আধুনিক প্রযুক্তির প্রসারের ফলে বর্তমানে এটি মূল্যবান সম্পদে পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু।
বুধবার শিল্পমন্ত্রী মালদ্বীপে অনুষ্ঠিত “শিল্পবর্জ্য ব্যবস্থাপনা” বিষয়ক ষষ্ঠ আঞ্চলিক সম্মেলন উপলক্ষে আয়োজিত গোলটেবিল সংলাপে সভাপতির বক্তব্যে এ কথা বলেন। শিল্প মন্ত্রণালয় থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলা হয়।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, আধুনিক বর্জ্য শোধনাগার (ইটিপি) স্থাপনের মাধ্যমে শিল্পবর্জ্যের পরিশোধন ও এর পুনর্ব্যবহারের সুযোগ তৈরি হয়েছে। ফলে শিল্পখাতে উৎপাদনশীলতা বাড়ছে। বাংলাদেশ ইতোমধ্যে শিল্পবর্জ্য হ্রাস, বর্জ্য পরিশোধন ও পরিশোধিত বর্জ্য শিল্প উৎপাদনে পুনর্ব্যবহারের লক্ষ্যে জাতীয় থ্রি আর কৌশল গ্রহণ করেছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, টেকসই উন্নয়নের জন্য অংশগ্রহণমূলক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা জরুরি। এ লক্ষ্যে পৌরসভাকেন্দ্রিক সনাতনী বর্জ্য ব্যবস্থাপনার ধারণা থেকে বেরিয়ে এসে নগরবাসী, শিল্প উদ্যোক্তা ও স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানকে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে।
তিনি কার্যকর বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য বাংলাদেশ সরকার গৃহিত জাতীয় থ্রি আর কৌশল অনুসরণে এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকার অন্যান্য দেশে সরকারি-বেসরকারি-কমিউনিটি অংশীদারিত্বে উদ্যোগ গ্রহণের সুপারিশ করেন।
বৈঠকে বক্তারা বলেন, এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোতে দ্রুত নগরায়নের ফলে শিল্পবর্জ্যের পরিমাণ অপ্রত্যাশিত হারে বাড়ছে। এ বর্জ্য দেশগুলোর প্রাকৃতিক পরিবেশ ও জীববৈচিত্রকে ক্রমেই হুমকির মুখে ঠেলে দিচ্ছে। তারা শিল্পবর্জ্যের ফলে সৃষ্ট পরিবেশ দূষণ মোকাবেলায় সম্মিলিত উদ্যোগে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার আওতায় একটি মেগাপ্রকল্প বাস্তবায়নের বিষয়ে একমত হন।
সংলাপে অন্যান্যের মধ্যে মালদ্বীপের শিক্ষামন্ত্রী ড. ইস্হাত শিহাম, রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের মন্ত্রী মোহামেদ হুসাইন সারিফ, অর্থনৈতিক উন্নয়ন সম্পর্কিত মন্ত্রী মোহামেদ সাঈদ ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী মিজ. ধুনিয়া মাওমুন বক্তব্য রাখেন।
উল্লেখ্য, জাতিসংঘের আঞ্চলিক উন্নয়ন কেন্দ্র ও জাপান সরকারের পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের যৌথ সহায়তায় মালদ্বীপ সরকার তিন দিনব্যাপী এ সম্মেলন আয়োজন করেছে। আগামী ১৯ আগস্ট এ সম্মেলন শেষ হবে।
এসকেডি/আরআইপি