ধর্ষণ মামলা দ্রুত বিচারে ১০০০ বিশেষ আদালত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৩:০৯ পিএম, ১৭ নভেম্বর ২০১৮

আদালতে মামলার পাহাড়। আইনের মারপ্যাচে পড়ে কোনও কোনও মামলা পড়ে রয়েছে ১০ বছর, কোনও মামলা ঝুলে রয়েছে তারও বেশি সময় ধরে। স্বাভাবিকভাবেই সঠিক সময়ে সুবিচার পাচ্ছেন না ভুক্তভোগীরা।

ধর্ষণ বা নারী নির্যাতনের ক্ষেত্রে এমনিতেই অভিযোগ প্রকাশ্যে আনতে ভয় পান নির্যাতিতারা, তার উপরে বছরের পর বছর আদালতের গোলকধাঁধায় পড়ে অনেকেই আইনের উপর আস্থা হারিয়ে ফেলছেন। ফলে শাস্তি পাচ্ছে না অপরাধীরা।

এবার এই সমস্যার সমাধানে উদ্যোগ নিচ্ছে কেন্দ্র। ধর্ষণ, নারী নির্যাতন, শিশু ও নারীদের উপর অত্যাচার সংক্রান্ত মামলাগুলোর দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য দেশজুড়ে ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রণালয়।

গত জুলাই মাসে কেন্দ্রীয় আইন মন্ত্রণালয় দেশজুড়ে এক হাজার ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট স্থাপনের প্রস্তাব দিয়েছিল। নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রণালয়কে পাঠানো প্রস্তাবে বলা হয়েছিল এই আদালতগুলোতে শুধু নারী নির্যাতনের মামলাগুলোর বিচার হবে। আইন মন্ত্রণালয়ের সেই প্রস্তাবে সাড়া দিয়েছে নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের তৈরি বিশেষ কমিটি।

কমিটির তরফ থেকে একটি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, পুরো দেশে মোট ১ হাজার ২৩টি এই ধরনের ফাস্ট ট্র্যাক আদালত তৈরি করা হবে। এই আদালতে নারী ও শিশুদের উপর অত্যাচার সংক্রান্ত মামলার শুনানি হবে। এই প্রকল্পের ব্যয় ধার্য করা হয়েছে প্রায় ৭৬৭ কোটি টাকা।

প্রাথমিকভাবে ৯টি রাজ্যে মোট ৭৭৭টি ফাস্ট ট্র্যাক আদালত স্থাপনের পরিকল্পনা করা হয়েছে। পরবর্তীকালে ২৪৬টি আদালত তৈরি হবে অন্য রাজ্যগুলোতে। প্রকল্পের খরচ বহন করা হবে নির্ভয়া ফান্ড থেকে। ২০১৩ নির্ভয়া ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের পর এই তহবিলটি তৈরি করেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং।

টিটিএন/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।