শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্টের সিদ্ধান্ত বাতিল করল সুপ্রিম কোর্ট

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৮:৫৯ পিএম, ১৩ নভেম্বর ২০১৮

শ্রীলঙ্কার সংসদ ভেঙে দিতে প্রেসিডেন্ট মাইথ্রিপালা সিরিসেনার নেয়া সিদ্ধান্ত বাতিল করে আগাম নির্বাচনের প্রস্তুতি বন্ধের আদেশ জারি করেছেন দেশটির সুপ্রিম কোর্ট। দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কায় চলমান রাজনৈতিক সঙ্কটের মাঝে মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের তিন বিচারকের এক বেঞ্চ এ আদেশ জারি করেছেন।

এর আগে শুক্রবার প্রেসিডেন্ট সিরিসেনা সংসদ ভেঙে দিয়ে আগাম নির্বাচনের ঘোষণা দেন। দুই সপ্তাহ আগে (২৬ অক্টোবর) সিরিসেনা প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহেকে ক্ষমতাচ্যুত ও দেশটির সাবেক নেতা মাহিন্দ রাজাপাকসেকে তার স্থলাভিষিক্ত করার পর সুপ্রিম কোর্টের এ নাটকীয় সিদ্ধান্ত এল।

প্রেসিডেন্ট মাইথ্রিপালা সিরিসেনা সংসদ ভেঙে আগামী ৫ জানুয়ারি আগাম নির্বাচন অনুষ্ঠানের ঘোষণা দিয়েছিলেন। তার এই ঘোষণার পর শ্রীলঙ্কার তিনটি রাজনৈতিক দল প্রেসিডেন্টের সিদ্ধান্তে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে রিট পিটিশন দায়ের করে।

আরও পড়ুন : আমিরাতে ছয় মাস মেয়াদী ভিসাকে অবৈধ ঘোষণা

দেশটির সংবিধানের ১৯তম সংশোধনীতে বলা হয়েছে, সংসদে ভোটাভুটি ছাড়া প্রধানমন্ত্রীকে বরখাস্ত করতে পারবেন না প্রেসিডেন্ট। এছাড়া পার্লামেন্টে ভোটাভুটি হলে বিক্রমাসিংহেকে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরানো কঠিন হয়ে যাবে। কারণ, সিরিসেনার দল ইউনাইটেড পিপলস ফ্রিডম অ্যালায়েন্স (ইউপিএফএ) ও রাজাপাকসের দল শ্রীলঙ্কা ফ্রিডম পার্টির মিলিত আসনের সংখ্যা ৯৫ এবং বিক্রমাসিংহের দল ইউএনপির আসন সংখ্যা ১০৬।

২০১৫ সালে দীর্ঘ সময় ধরে প্রেসিডেন্ট পদে থাকা রাজাপাকসেকে হারিয়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন সিরিসেনা। ওই সময় সিরিসেনার জোটে ছিলেন বিক্রমাসিংহে। তবে সিরিসেনা ও বিক্রমাসিংহে'র মধ্যে নানা সময়েই মতবিরোধ দেখা দেয়। সবশেষ ভারতকে একটি বন্দর ইজারা দেয়ার ব্যাপারে সরকারের পরিকল্পনা নিয়ে এই দুজনের মধ্যে চরম মতবিরোধ শুরু হয়।

প্রেসিডেন্ট মাইথ্রিপালার বিতর্কিত সিদ্ধান্তের জেরে দেশটিতে নজিরবিহীন সাংবিধানিক সঙ্কট শুরু হয়েছে। সংসদ সচল করতে দেশীয় রাজনৈতিক ও আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক চাপের মুখে রয়েছেন মাইথ্রিপালা।

এসঅাইএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।