মাতৃগর্ভে শিশু গুলিবিদ্ধ : বন্দুকযুদ্ধে মামলার আসামি নিহত


প্রকাশিত: ০৭:৪৫ পিএম, ১৭ আগস্ট ২০১৫

ক্ষমতাশীন দলের দুই গ্রুপের সহিংসতায় গর্ভস্থ শিশু গুলিবিদ্ধ এবং একজন নিহত হওয়ার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার ৩ নম্বর আসামি মেহেদী হাসান আজিবর ওরফে অজিবর শেখ পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয়েছে দুইটি আগ্নেয়াস্ত্র।

সোমবার দিবাগত রাত পৌনে ১টা দিকে মাগুরা শহরের দোয়ারপাড় এতিমখানা এলাকায় এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। জেলা পুলিশ সুপার এহসান উল্লাহ এ খবর নিশ্চিত করেছেন।

এহসান উল্লাহ জানান, আজিবরসহ একটি সন্ত্রাসী গ্রুপ দোয়াপাড় এতিমখানা এলাকায় অবস্থান করছে এমন খবরের পুলিশের একাধিক টিম তাকে আটক করতে সেখানে অভিযানে যায়। এসময় সন্ত্রাসীরা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে ছুড়তে পালানোর চেষ্টা করে। পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। পরে ঘটনাস্থলে আজিবর শেখের গুলিবিদ্ধ লাশ পাওয়া যায়। অন্য সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে দুটি আগ্নেযাস্ত্র উদ্ধার করে।

এর আগে, সোমবার সন্ধ্যায় মাগুরা শহরের ব্যাপক গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে শালিখা উপজেলার সীমাখালী এলাকা থেকে পুলিশের হাতে আজিবর গ্রেফতার হয়েছেন। কিন্তু পুলিশ বাববার বিষয়টি সাংবাদিকদের কাছে অস্বীকার করে। এসময় পুলিশ সুপার জানান, এ ধরনের কোনো গ্রেফতারের ঘটনা ঘটলে সম্পূর্ণ নিশ্চিত হয়ে অবশ্যই মিডিয়াকে জানানো হবে।

গর্ভস্থ শিশু গুলিবিদ্ধ এবং একজন নিহত হওয়ার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার আজিবর তিন নম্বর আসামি হলেও মামলায় বাদী উল্লেখ্য করেছেন আজিবরের আগ্নেয়াস্ত্রের ছোড়া গুলিতে মমিন ভূইয়া নিহত হয়েছেন।

এ মামলার প্রধান আসামি জেলা ছাত্রলীগ সহ-সভাপতি সেন সুমনের সাত দিনের রিমান্ড চলছে। বর্তমানে সে মাগুরা ডিবি পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। ঢাকার কল্যাণপুর থেকে গত ২ আগস্ট সুমনকে গ্রেফাতার করা হয়।

এর আগে, মামলার ৫ নম্বর আসামি ও ১২ নম্বর আসামি সোবাহাকে পুলিশ এক দিনের জন্য রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল। এ পর্যন্ত মামলার ১৬ আসামির মধ্যে ডিবি পুলিশ ৯ জনতে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে। অন্যদিকে আজিবর বন্দুকযুদ্ধে নিহত হওয়ার পর বাকি ২ নম্বর আসামি মোহাম্মদ আলীসহ ছয়জনকে পুলিশ এখনো গ্রেফতার করতে পারেনি।

উল্লেখ্য, গত ২৩ জুলাই শহরের দোয়ারপাড় এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ক্ষমতাশীন দলের ছত্রছায়ায় থাকা দু’গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ সময় গুলিতে নিহত হন মমিন ভূইয়া নামে একজন। গর্ভস্থ শিশুসহ গুলিবিদ্ধ হন নাজমা বেগম নামে এক গৃহবধূ।

এ ঘটনায় নিহত মমিনের পুত্র রুবেল ২৬ জুলাই মাগুরা সদর থানায় ১৬ জনের নামে হত্যাসহ বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে মামলা দায়ের করেন।

## মাতৃগর্ভে শিশু গুলিবিদ্ধের ঘটনায় আরো একজনকে গ্রেফতারের গুজব

বিএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।