থানায় হলো যাত্রা, ওসি নায়ক কনস্টেবল নায়িকা
পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব মেদিনীপুরের খেজুরি থানায় মঞ্চস্থ হলো যাত্রাপালা। নাম ‘আমি রাতের রজনীগন্ধা’। শনিবার ঠিক রাত ৮টায় থানা চত্বরে শুরু হয় যাত্রা। এ জন্য ২০ দিন মহড়া করতে হয়েছে পুলিশকর্মীদের।
এক গাঙ্গুলি পরিবারকে কেন্দ্র করে মঞ্চস্থ হয় এ যাত্রার গল্প। যে পরিবারের নানা সমস্যার মাধ্যমে সামাজিক বার্তা দিতে চেয়েছেন পুলিশ সদস্যরা। যাত্রায় ওসি নায়ক এবং এক নারী কনস্টেবল নায়িকা হিসেবে অভিনয় করেন।
খেজুরি থানার ওসি শীর্ষেন্দু দাস বললেন, কাজের ফাঁকেই হয়েছে মহড়া। সম্প্রতি খেজুরি থানা এলাকায় খুন হন একজন। যা নিয়ে এলাকায় যথেষ্ট উত্তেজনা ছিল। তা ছাড়াও উৎসবের মৌসুমের নানা ঝক্কিও পোহাতে হয়েছে। তার মধ্যেই মহড়া চলেছে। অনেক সময়ে আসতে পারেননি কেউ কেউ। যে কয়জন যোগ দিতে পেরেছেন তাদের নিয়েই হয়েছে মহড়া।
থানায় হঠাৎ যাত্রা কেন- জানতে চাইলে ওসি বলেন, ‘এ-ও এক ধরনের জনসংযোগ। সেইসঙ্গে সামাজিক বার্তা দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। গাঙ্গুলি পরিবারের সদস্যদের নানা সমস্যা তুলে ধরার মধ্যেই নারীপাচার, পণপ্রথার কুফল, বেকার যুবকের নেশাগ্রস্ত হয়ে পড়া এবং কুপথে যাওয়ার বিপদ নিয়ে বার্তা দেয়া হয়েছে।’
যাত্রা দেখতে উপস্থিত ছিলেন জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইন্দ্রজিৎ বসু, কাঁথির এসডিপিও পার্থ ঘোষ, সার্কেল পরিদর্শক এগরা, তাপস পাল এবং কাঁথি মহিলা থানার ওসি মৌসুমী সর্দার প্রমুখ। এছাড়া যাত্রা দেখতে এসেছিলেন খেজুরি আদর্শ বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষক বিদ্যুৎকুমার দাস এবং নিজ কসবা গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সমুদ্ভব দাস।
যাত্রার নির্দেশনা ও প্রযোজনায় ওসি নিজেই। তিনি অভিনয়ও করছেন নায়কের ভূমিকায়। সহ-নির্দেশনায় সার্কেল পরিদর্শক ভূপতিনগর দেবাশিস রায়।এছাড়াও হেঁড়িয়া পুলিশ ফাঁড়ির এসআই অভিজিৎ পাত্র পুলিশের ভূমিকাতেই অভিনয় করছেন। খেজুরি থানার পুলিশকর্মী সোমনাথ শীট অবাঙালি চরিত্রে অভিনয় করছেন।
যাত্রায় নায়িকা চরিত্রে অভিনয় করছেন খেজুরি থানার মহিলা কনস্টেবল সুপর্ণা রায়। সহ-নায়িকা মহিলা কনস্টেবল সঞ্চিতা নন্দ। আরেক কনস্টেবল সুনন্দা পণ্ডা সিবিআই অফিসারের ভূমিকায়। খলনায়িকা হন খেজুরি থানার মহিলা সিভিক ভলান্টিয়ার দীপালি কান্ডার।
বিএ/এমএস