চালকের উদাসীনতা, ট্রেনে কাটা পড়তে গিয়েও বেঁচে গেলেন গার্ড
চালকের উদাসীনতায় ট্রেনে কাটা পড়তে যাচ্ছিলেন ট্রেনেরই এক গার্ড। শুক্রবার হাওড়া ছেড়ে যাওয়ার সময় দিঘাগামী এসি এক্সপ্রেসের এয়ারপ্রেশার পাইপটি খুলে যায়। ট্রেনের এক গার্ড সেটা মেরামত করতে ট্রেনের নিচে ঢোকেন। মেরামত শেষ হওয়া মাত্রই কোনওরকম সংকেত ছাড়াই চালক ট্রেনটি চালিয়ে দেন। আতঙ্কে গার্ড ওই পাইপটি ধরেই ঝুলে পড়েন। সেই অবস্থায় ১০০ মিটার ট্রেনটি চলে যায়। প্রত্যক্ষদর্শী আরপিএফ কর্মীদের চিৎকারে ট্রেন থামান চালক । অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পান গার্ড।
শুক্রবার বেলা সাড়ে এগারোটার দিকে হাওড়া থেকে দিঘাগামী এক্সপ্রেস ছাড়ে। সে সময় এর এয়ারপ্রেশার পাইপটি খুলে যায়। সঙ্গে সঙ্গে ট্রেনটি দাঁড়িয়ে যায়। ট্রেনটি দাঁড়িয়ে গেলে গার্ড নিচে নেমে এয়ারপ্রেশার পাইপটি খুঁজে বের করেন। তারপর নিজেই সেটি মেরামতের কাজ শুরু করেন। এ কাজ করতে গিয়ে তিনি ট্রেনের নিচে ঢোকেন। অনেক চেষ্টার পর এয়ারপ্রেশার পাইপের যে অংশটি খুলে যায়, সেই অংশটি জোড়া লাগান।
জোড়া লাগানোর সঙ্গে সঙ্গেই কোনওরকম সংকেত ছাড়াই চালক ট্রেনটিকে চালিয়ে দেন। প্রথমে ওই গার্ড বিভ্রান্ত হয়ে পড়েন। পরে ট্রেনের পাইপ ধরেই তিনি ঝুলে পড়েন। দৃশ্যটি দেখে রেল পুলিশের কর্মীরা চিৎকার শুরু করে দেন। ট্রেনটি প্রায় ১০০ মিটার দূরে এগিয়ে যায়। গার্ড সেই অবস্থাতেই ঝুলে কোনও মতে প্রাণে বাঁচেন।
দক্ষিণ-পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক সঞ্জয় ঘোষ জানান, চালক তাঁর কামরায় এয়ারপ্রেশার এসে গিয়েছে ভেবেই ট্রেনটি চালিয়ে দেন। যদিও ট্রেনটির গার্ড যে ট্রেনের তলা থেকে তখনও মেরামত করে বেরোননি, সেই বিষয়টি চালকের জানা উচিত ছিল। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে আরপিএফ।
এই ঘটনার পরই রেলের চূড়ান্ত গাফিলতির বিষয়টি আবারও প্রকাশ্যে এল। ট্রেনের গার্ডের সঙ্গে চালকের প্রতি মুহূর্তে সংযোগ রাখার কথা। কিন্তু কেন এ ধরনের ঘটনা ঘটল, তা নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে।
টিটিএন/এমএস